শিরোনামটা দেখে চমকে যেতেই পারেন আপনি। তবে খোদ ফিফা ও ইংল্যান্ডের বিরোধের সুর যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এমন কিছুর ঘোষণা আসলে মোটেই অবাক হওয়ার মত বিষয় হবে না। কী সেই বিরোধের বিষয়?
ফিফা আগেই জানিয়েছিল, যে দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে সেই দেশের আইন আর সংস্কৃতি ঠিকঠাকভাবে মেনে চলতে হবে। কিন্তু ফিফার নির্দেশনা না মেনে নিজেদের মত করে আর্মব্যান্ড নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড।
মূলত সমকামী প্রেমের সমর্থনে একটি বিশেষ আর্মব্যান্ড পরে নামতে পারেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। আর সেটা করলে বেশ বিপাকেই পড়তে হতে পারে তাঁকে। কারণ কাতারের আইন অনুযায়ী সমকামী প্রেম অবৈধ।
শুধু যে ইংল্যান্ড এই বিশেষ আর্মব্যান্ড পরে খেলবে তা নয়, ইংল্যান্ডের সাথে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে ওয়েলসও। ধারণা করা হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আর কয়েকটি ইউরোপের দলও ‘ওয়ান লাভ’ এই বিশেষ আর্মব্যান্ডটি নিয়ে মাঠে নামতে পারে।
ইংল্যান্ড অবশ্য এই ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ডটি পরে মাঠে নামার জন্য গত মাস থেকেই বেশ চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ফিফার কাছে তারা অনুমতি নেওয়ারও চেষ্টা করেছে। এফএর নির্বাহী মার্ক বুলিংহাম সে সময়েই বলেছিলেন, হ্যারি কেইনের হাতে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামার জন্য প্রয়োজনে জরিমানাও দিতে রাজি ইংল্যান্ড।
এখন দেখার পালা জল কতদূর গড়ায়। কাতারে স্পষ্টভাবেই এমন কিছু করার নিষেধাজ্ঞা আছে। আর সেই নিয়মে ফিফারও সাঁয় আছে। তাই আজকের ম্যাচে হ্যারি কেইনের হাতে এমন কিছু দেখা গেলে বেশ ঝামেলাতেই পড়তে পারেন তিনি। দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ইংল্যান্ড-ইরানের এই ম্যাচটি।