একদিকে অভিজ্ঞতা নির্ভর তিউনিশিয়া। অন্যদিকে তারুণ্য নির্ভর ইউরোপের নতুন ডার্কহর্স ডেনমার্ক। বলা হয়ে থাকে, ফুটবলের নব দৌরাত্ম্য তারুণ্যকে ঘিরে। কিন্তু গ্রুপ ডি এর প্রথম ম্যাচটা হলো একদম সমানে সমান। নব্বই মিনিটের খেলায় ম্যাচটা হলো গোলশূন্য ড্র। যেটি এবারের কাতার বিশ্বকাপেও প্রথম গোলশূণ্য ড্রয়ের ঘটনা।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ১০ নম্বর দল ডেনমার্ক। অন্যদিকে তিউনিশিয়ার অবস্থান ৩০ এ। তবে তিউনিশিয়া দলে ইউসেফ এমসাকনি, ওয়াহবি খাজরিরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে অনেক বড় টুর্নামেন্টে খেলেছেন। তাই তাদের মধ্যে বোঝাপড়া আর অভিজ্ঞতার মিশেলে ডেনমার্ককে ঠিকই টেক্কা দিয়ে দিয়েছে আফ্রিকার এ দলটি।
বিশ্বকাপের সাথে খুব একটা সখ্য ছিল না ডেনমার্কের। তবে ২০২০ ইউরোতে সেমিফাইনালে গিয়ে চমক দেখিয়েছিল দলটি। তাই কাতার বিশ্বকাপে আলাদা নজরই ছিল ডেনমার্কের উপরে। ক্রিস্টিয়ান এরিকসন, অধিনায়ক সিমন কিয়ার আর গোলবারের নিচে কাস্পার স্মাইকেলকে নিয়ে দুর্দান্ত এক স্কোয়াডই সাজিয়েছিল ডেনিশ কোচ হিউলমান্দ। তবে কাতার বিশ্বকাপে এসে সেই ছন্দের উপস্থিতি মিলল কমই।
বড় সুযোগ তৈরিতে দুই দলই দেখিয়েছে সমান দক্ষতা। তিউনিশিয়া, ডেনমার্ক দুই দলই তৈরি করেছে একটি করে বড় সম্ভাবনা। আবার অফসাইডের ফাঁদে দুই দলই আটকে গিয়েছে একবার করে। আবার কর্ণার পাওয়ার দিক দিয়েও দেখিয়েছে প্রায় সমান আধিপত্য।
ডেনমার্ক কর্নার পেয়েছে ১১ টি। আর তিউনিশিয়া পেয়েছিল দুইটি কম, ৯ টি। বল পজিশনে অবশ্য এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। তাদের অর্ধে বল ছিল ৬২ শতাংশ। অপরদিকে তিউনিশিয়া নিজেদের কাছে বল রেখেছিল ৩৮ শতাংশ।
শেষের দিকে অবশ্য ডেনমার্কে আক্রমণভাগ চেপে ধরেছিল তিউনিশিয়ার রক্ষণভাগে। মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তিউনিশিয়ার ডিফেন্ডাররা। তবে শেষ পর্যন্ত গোলবঞ্চিতই থাকতে হয় ডেনিশ স্ট্রাইকারদের। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথম গোলশূণ্য ড্রয়ের সাক্ষী হলো কাতার বিশ্বকাপ।