শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে পর্তুগাল। প্রথমবারের মত প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া গনসালো রামোস করেন এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। ১৭ মিনিটের মাথায় দূরহ এক কোণ থেকে প্রথম গোলটি করেন রামোস।
কিন্তু গোল করার পরেই দেখা গেলো এক অদ্ভুত ঘটনা। পর্তুগাল শিবিরের সবাই রামোসের গোল উদযাপনে ব্যস্ত থাকলেও সেখানে সামিল হলেন না বার্নাডো সিলভা। তিনি থেকে গেলেন মাঠে সীমানার ভেতরেই।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুরন্ত ছিল পর্তুগাল। শুধু ৬-১ গোলে সুইজারল্যান্ডকে বিধ্বস্তই করেনি তাঁরা, তাদের খেলায় দেখা মিলেছে ইউরোপীয় পাওয়ার ফুটবল প্রদর্শনীর। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই অসাধারণ খেলতে থাকা বার্নাডো সিলভাও এ ম্যাচে ছিলেন দারুণ ফর্মে। তবে ১৭ তম মিনিটে গনসালো রামোসের প্রথম গোলের সময় দলের উদযাপনে অংশ না নেয়ার বিষটি চোখ এড়িয়ে যায়নি দর্শকদের।
সিলভার এমন ঘটনার পেছনের কারণটা অবশ্য গোলমেলে। সিলভা মনে করেছিলেন যদি আউটফিল্ডে খেলা ১০ জন খেলোয়াড়ই মাঠের সীমানার বাইরে থাকেন তাহলে বিপক্ষ দল খেলা পুনরায় শুরু করতে পারবে।
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে কিয়েরান ট্রিপিয়ারও করেছিলেন একই কান্ড। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে অধিনায়ক হ্যারি কেইন গোল করার পরেও তিনি দলের সাথে গোল উদযাপনে অংশ নেননি। সিলভা এবং ট্রিপিয়ার দুইজনই ফিফার গোলের পর খেলা শুরু হবার নিয়মের কথা মাথায় নিয়েই কাজটি করেছেন। ফিফার উক্ত নিয়মটি নিয়ে রয়েছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব।
যার কারণে খেলোয়াড়রা মনে করেন যে সব খেলোয়াড় মাঠের সীমানার বাইরে থাকলে বিপক্ষ দল খেলা শুরু করতে পারবে। তখন সম্ভাবনা থাকবে গোল হজম করারও।
যদিও ফিফা বলছে তাদের আইনের ৮ নং ধারা অনুযায়ী, ‘কিক অফ করা খেলোয়াড় বাদে বাকি সবাইকে নিজেদের অর্ধে থাকতে হবে’। এর মানে দাঁড়ায় সিলভা দলের সাথে উদযাপন করতে পারতেন,তাতে সুইজারল্যান্ডের খেলা শুরু করার সুযোগ ছিলো না।
এর আগে ফিফার এক মুখপাত্র বলেন, ‘নিয়মটি পরিষ্কার। আট নং ধারায় বলা আছে কিক-অফ করতে যাওয়া খেলোয়াড় বাদে বাকি সব খেলোয়াড়কে নিজের অর্ধে থাকতে হবে কিক অফের সময়। তাই, যখন একটি দল উদযাপন করতে থাকবে তখন রেফারি বিপক্ষ দলকে খেলা শুরু অনুমতি দেবেন না বা দিতে পারেন না।’