ম্যাচটা লাগামের বাইরেই চলে গিয়েছিল ফ্রান্সের। ৮০ মিনিটের আগেও ম্যাচে আর্জেন্টিনা ছিল ২-০ গোলে এগিয়ে। কিন্তু, ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের। জোড়া গোল করে ফরাসিদের ম্যাচে ফেরান।
পরে অতিরিক্ত সময়েও গোল করেন। কিন্তু, পারেননি মেসির সামনে, পারেননি এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সামনে। সতীর্থদের ভুলে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও এমবাপ্পে তাই পরাজিতের দলে।
দলকে টানা দ্বিতীয় শিরোপা এনে দিতে পারেননি প্যারিস সেন্ট জার্মেই’র (পিএসজি) এই তারকা। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। এর আগে ১৯৬৬ সালে তৎকালিন পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট। হার্স্ট সেদিন বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তবে, ২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পে পারেননি।
শিরোপা হাতছাড়া করলেও চার বছর পর ২০২৬ সালে আরো শক্তি সঞ্চার করে বিশ্ব মঞ্চে প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমবাপ্পে। অন্য যে কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে বিশ্বকাপে বেশী গোল করা এমবাপ্পে সোমবার নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘নোস রিভিয়েন্ড্রন (আমরা ফিরে আসব)’। সঙ্গে বিশ্বকাপ ট্রফির পাশ দিয়ে নিজের হেঁটে যাওয়ার একটি ছবিও পোস্ট করেন এমবাপ্পে।
এবারের আসরে সর্বাধিক আট গোল দিয়ে গোল্ডেন বুট জিতে নিয়েছেন এমবাপ্পে। তবে বিশ্বকাপের শিরোপাটি জিতে নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপ জয় করেছে দক্ষিন আমেরিকার এই দেশটি।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে পিএসজি সতীর্থ মেসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছেন এমবাপ্পে। দুই দুইবার এগিয়ে যাওয়া দলটিকে প্রতিবারই সমতায় ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাবার পর গোল দুটি পরিশোধ করে ফ্রান্সকে ২-২ গোলে সমতায় ফিরিয়ে আনেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে ফের এগিয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নিজের তৃতীয় এবং হ্যাটট্রিক গোল দিয়ে ফের নিজ দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন এমবাপ্পে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত হয় ফ্রান্স।