ফিফা র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল হয়ে অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল ব্রাজিল। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপার মিশনে এবারও ব্যর্থ হয়েই দেশে ফিরতে হয়েছে সেলেসাওদের।
অন্যদিকে, ৩৬ বছরের শিরোপা আক্ষেপ ঘুচিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিতেছে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতলেও ব্রাজিলকে টপকে জেতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
সাধারণত বিশ্বকাপের পরপরই নতুন র্যাংকিং প্রকাশ করে ফিফা। এবারের প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে কিছুটা চমক দেখিয়ে এখনও শীর্ষে রয়েছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রায় ১০ মাস ধরে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ রেখেছে ব্রাজিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থানে ওঠে সেলেসাওরা। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেলজিয়াম। বিশ্বকাপ জিতে বেলজিয়ামকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আলবিসেলেস্তেরা।
লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ২০২১ সালে জেতে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালে ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা আর এবার শেষমেশ সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠত্ব বিশ্বকাপ। তবুও ব্রাজিলকে টপকে জেতে পারেনি বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শীর্ষে উঠতে আর্জেন্টিনার প্রয়োজন ছিল নির্ধারিত সময়ে জয়। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও এমবাপ্পের ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই গোলে সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জেতে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা।
র্যাংকিং এ দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার পরেই অবস্থান করছে সদ্য সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়া বেলজিয়াম দুই ধাপ পিছিয়ে আছে চার নাম্বারে। র্যাংকিং এ ১০ নাম্বারে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করা ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়ে উঠে এসেছে সাত নম্বরে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আছে ৯ নাম্বারে। অন্যদিকে, বিশ্বকাপে খেলতে না পারা ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি আছে অষ্টম অবস্থানে। এবার রূপকথার মত এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছে মরক্কো।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন আশরাফ হাকিমি, ইয়াসিন বোনোরা। বিশ্বকাপের পর নিজেদের ইতিহাসের সেরা র্যাংকিং এ অবস্থান করছে মরক্কো। বর্তমান ফিফা র্যাংকিং এ ১১ নাম্বারে আছে আফ্রিকান অদম্য সিংহরা।