খেলোয়াড় আর কোচ দুই ভূমিকাতেই সফল হয়েছেন এমন খুব বেশি নজীর নেই। জিনেদিন জিদান ছোট্ট সেই তালিকার অংশ। খেলোয়াড় হিসেবে প্রায় সব জেতা জিদানের কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই মেয়াদে রিয়ালের দায়িত্ব নিয়ে মোটা দাগে সফলই ছিলেন জিদান।
কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২১ সালে রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব ছাড়ার পর আর কোনো দলের দায়িত্ব নেননি তিন বারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় জিদান। রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পরই জিদান জানিয়েছিলেন নিজ দেশ ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী তিনি।
গুঞ্জন ছিল কাতার বিশ্বকাপের পরেই ফ্রান্স দলের দায়িত্ব ছাড়বেন ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ দিদিয়ের দেশ্যম। কিন্তু ২০১৮ সালে শিরোপা জেতানোর পর এই বিশ্বকাপেও ফ্রান্সকে ফাইনালে তোলা দেশ্যমের সাথে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)।
দেশ্যম ফ্রান্সের দায়িত্ব ছাড়লে জিদানকেই সম্ভাব্য কোচ হিসেবে ধরা হচ্ছিল। গত জুনে ফরাসি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জিদান নিজেই ফ্রান্সের কোচ হবার ইচ্ছার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অবশ্যই হতে চাই (ফ্রান্সের কোচ)। একদিন আমি নিশ্চই ফ্রান্সের কোচ হব বলেই আশা করি। কখন হব সেটি আমার ওপর নির্ভর করে না। যখন এটি হবার তখনই হবে। তবে নিশ্চই ফ্রান্স দলটাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর আমার জন্য।’
দেশ্যমের চুক্তি নবায়নের পর জিদানের ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এদিকে বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের জন্য কোচ খুঁজছে ব্রাজিল, পর্তুগাল আর যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনও (সিবিএফ) আগ্রহী ছিল জিদানের প্রতি। কিন্তু জিদান তার নিজ দেশ ব্যতিত অন্য কোনো দেশে কোচিং করাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যাকেই বড় সমস্যা মনে করছে ফ্রান্সের একটি গণমাধ্যম।
ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসকে জিদানের সম্ভাব্য গন্তব্য মনে করা হলেও, জুভেন্টাসের বর্তমান কোচ এলিগ্রি ভালোই করছেন কোচ হিসেবে। তাই সহসাই কোচ বদলাচ্ছে না জুভেন্টাস।
এদিকে ফ্রান্সের স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এর মালিক পক্ষ জিদানের প্রতি আগ্রহী হলেও প্যারিসের ক্লাবটির কিছু জিনিস পরিবর্তন না হলে কখনোই তাদের প্রস্তাবে রাজি হবেন না জিদান।