তখন ম্যাচের ফল প্রায় নির্ধারণ হয়ে গেছে। ৩ বলে ৮৩ রান দরকার ছিলো শ্রীলংকার। তখন ৯৮ রানে অপরাজিত লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি বল করতে গিয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তে শানাকাকে ক্রিজের বাইরে দেখে স্টাম্প ভেঙে দেন। ফিল্ড আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দিলেও দ্রুতই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা রান আউটের দাবি প্রত্যাহার করে শানাকাকে ক্রিজে ফিরিয়ে আনেন।
মানকাডিং নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ক্রিকেটীয় আইনে পুরোপুরি বৈধ হলেও বারবারই ক্রিকেটীয় চেতনার আলোচনা সামনে আসে বিতর্কে। শানাকা তখন আউট হলে নিশ্চিতভাবেই এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক শুরু হতো ক্রিকেট পাড়ায়।
এমনিতেই ভারতীয়দের বিপক্ষে বরাবরই এই মানকাডিং এর তীর ছোড়া হয়। সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ভিনু মানকাডের নাম অনুসারে এই আউটের প্রচলন হওয়ায় তা যেন আরো বেশি। কিন্তু এবার রোহিত শর্মা সে পথে হাঁটেননি রোহিত। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা শানাকাকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে দেননি।
এর বেশি খানিক আগেই জয় নিশ্চিত হওয়া ভারত শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৬৭ রানে। গুয়াহাটিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক ভারত। ভারতের তিন উইকেটে ৩৭৩ রানের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলে শ্রীলঙ্কা থামে ৩০৬ রানে।
রোহিতের এমন ব্যবহারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রসংশার ঝড় বইছে। রোহিতকে প্রসংশায় ভাসিয়েছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনাথ জয়াসুরিয়াও, ‘রান আউট না করায় আসল জয়ী রোহিতের খেলোয়াড়ি চেতনা। টুপি খোলা কুর্নিশ তাকে।’
ম্যাচ শেষে রোহিত স্টার স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমি জানি না, শামি কেন এটা করেছে। সে যখন আবেদন করল, শানাকা ৯৮ রানে অপরাজিত। দারুণ ব্যাট করছিল। আমরা তাকে ওভাবে আউট করতে পারি না। নিজেদের পরিকল্পনামতো ওকে আউট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ওটার (মানকাডিং) কথা ভাবিনি। সে খুব ভালো খেলেছে।’