পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন চলছে দিন বদলের হাওয়া। বোর্ড সভাপতি সহ পাল্টে গেছে গোটা পরিচালনা পর্ষদ। নির্বাচক প্যানেলেও হয়েছে রদবদল। এবার তারই সূত্র ধরে দলেও আসতে চলেছে পরিবর্তন।
কি সেই পরিবর্তন? জাতীয় দলে ফিরতে চলেছেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ আমির। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই আভাস দিয়েছেন জাতীয় দলের নব নিযুক্ত প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ।
আমির ও মালিক দু’জনই এখন আছেন বাংলাদেশে। খেলছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে। আমির সিলেট স্ট্রাইকার্সে, আর মালিক খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। দু’জনের পারফরম্যান্সই ইতিবাচক, দু’জনই নিজেদের দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার। ফলে, জাতীয় দলের রাস্তা খোলাটাও সহজ হচ্ছে তাঁদের জন্য।
হারুন রশিদ মনে করেন এই দু’জনের অভিজ্ঞতা এখনও কাজে লাগানোর সুযোগ আছে পাকিস্তানের। তিনি বলেন, ‘আমির ও মালিককে ফেরানো যেতে পারে। প্রথমে দেখতে হবে আমাদের বর্তমানে কম্বিনেশনের সাথে কারা মানিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে আমরা এমন সব (মালিক-আমির) ক্রিকেটারের দিকে চোখ রাখছি যারা বড় আসরে দলের হয়ে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে করে পাকিস্তানের জয়ের সুযোগ বাড়বে।’
হারুন প্রাধান্য দিচ্ছেন দলীয় স্বার্থকে। সেখানে পারফরম্যান্স বিবেচনায় সবার জন্য দলের দরজা খোলা রাখছেন তিনি। বললেন, ‘কোনো তরুণ খেলোয়াড় একটা নির্দিষ্ট পজিশনে যদি ভালো খেলে, তবে তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে নিজের অবস্থানে খুবই উন্মক্ত, এখন পর্যন্ত। এ নিয়ে বিশেষ কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করিনি। যখন আমার নির্বাচক প্যানেল তৈরি হবে, তখন আমরা নির্দিষ্ট নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাব।’
মোহাম্মদ আমির অবশ্য পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেলের সাথে মনোমালিন্যের জের ধরে আগেই অবসর নিয়ে ফেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। তবে, সম্প্রতি নতুন বোর্ড সভাপতি নাজাম শেঠি সাফ জানিয়ে দেন, চাইলে আমিরের জন্য দলের দরজা খোলা। অবসর ভেঙে যদি তিনি নিয়মিত পারফর্ম করেন, তাহলে পাকিস্তান দল তাঁকে বিবেচনা করবে।
অন্যদিকে, শোয়েব মালিক ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ করেন। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেন। এরপরই কোনো যৌক্তিক কারণ না দেখিয়েই বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া হয়। তবে, মালিক এরপর যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন পারফর্ম করেছেন। ফলে, আমিরকে সাথে নিয়ে তিনিও ফিরলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।