মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হবার পর বড় একটা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন ঋষাভ পান্ত। ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই ব্যাটারের বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক উইকেটরক্ষক কেএস ভারত।
কিন্তু, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের ব্যাট কথা বলছে না মোটেই। যদিও স্পিনারদের আধিপত্যময় এই সিরিজে দুইদলের ব্যাটাররাই ভুগছেন প্রবলভাবে। ভারতীয় দলেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা আর চেতেশ্বর পূজারা ছাড়া এই সিরিজে তেমন রান পাননি তেমন কেউই। তাই কেএস ভারতকে নিয়েও তেমন দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
সিরিজের প্রথম টেস্টেই ২১২ বলে ১২০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। মাত্র সাত সেশনে শেষ হওয়া তৃতীয় টেস্টের সেই কঠিন পিচেও ১৪২ বলে ৫৯ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলেন চেতেশ্বর পূজারা। এই দুই ব্যাটার ছাড়া পুরো সিরিজেই বলার মত স্কোর পাননি ভারতের কোনো ব্যাটারই। এমন কঠিন পিচে একটি ভালো ইনিংসই ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে বলে বিশ্বাস করেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলা হওয়া এমন স্লো, লো আর অসমান বাউন্সের পিচে ভালো স্কোরের মানদন্ড আলাদা হওয়া উচিত বলেও মত রাহুলের। প্রথম তিন টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় উইকেটরক্ষক কেএস ভারতের জায়গায় অভিষেক হতে পারে আরেক উইকেটরক্ষক ইশান কিষানের, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
উইকেট কিপিংয়ে লেটার মার্ক পেলেও আলোচনা হচ্ছে ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে। দীর্ঘদিন ঋষাভ পান্তের ব্যাকআপ হিসেবে থাকার পর এই সিরিজেই অভিষেক হয়েছে ভারতের। তাই ভারতের ওপর থেকে এখনই আস্থার হাত সরাতে চান না কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল বলেন, ‘আমরা মোটেই চিন্তিত নই। এখানেই পরিস্থিতি বিবেচনার বিষয়টি আসে। সে যে পরিস্থিতি এবং কন্ডিশনে কিপিং করেছে এবং খুব বড় কোনো অবদান না রাখতে পারলেও সে প্রথম ইনিংসে ১৭ রান করেছে।’
মূলত চতুর্থ টেস্টের আগে ঐচ্ছিক অনুশীলনে দীর্ঘক্ষণ ঈশান কিষাণের সাথে কাজ করতে দেখা যায় রাহুল দ্রাবিড়কে। কিন্তু এখনো ভারতের কিপিং এবং ব্যাটিংয়ের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে রাহুলের। দিল্লী টেস্টে ভারতের ক্যামিও ইনিংস স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘দিল্লী টেস্টে সে দারুণ অবদান রেখেছে। সেখানে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে সে।
এমন ধরণের কন্ডিশনে আপনার কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও দরকার হয় যেটা সেদিন সে পায় নি। সে ভালো ভাবেই মানিয়ে নিচ্ছে এবং দারুণ কিপিং করছে দলের হয়ে। তাই তার ব্যাটিং পারফরম্যান্সকেও আমাদের সেভাবেই দেখা উচিত।’
সিরিজের তিন টেস্ট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪.২৫ গড়ে ৫৭ রান করেছেন ভারত। মিডল অর্ডারে খেলা কোনো ব্যাটারের জন্য তিন টেস্ট মিলিয়ে এই রানকে অনেকটা কমই বলতে হবে। যেখানে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করা রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজাও ভারতের চেয়ে বেশি রান করেছেন। ব্যাট হাতে খারাপ সময় গেলেও রাহুল দ্রাবিড়কে পাশেও পাচ্ছেন এই তরুণ উইকেটরক্ষক।