হাসান মাহমুদ, ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট

চট্টগ্রামে হাসান মাহমুদের একটা স্পেল বাংলাদেশকে ম্যাচে এনে দিয়েছিল। নিজেদের লক্ষ্যে ছুটতে থাকা ইংল্যান্ড হঠাতই হোঁচট খায় এই পেসারের দুই ওভারে। ডেথ ওভারে এমন দুর্দান্তে বোলিংয়ের পর বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে জয়ের ভীতটা গড়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদই।

তাইতো মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হল তরুণ এই পেসারকেই। চট্টগ্রাম থেকে মিরপুরেও সাথে করে নিয়ে এসেছেন আত্মবিশ্বাস। তিনি মনে করেন সিরিজটা জিতবে বাংলাদেশই।

যদিও মিরপুরের এর আগে দুটি ওয়ানডে ম্যাচই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এরপর চট্টগ্রামে দেখা মিলেছে টানা দুই জয়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়টা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই স্মরণীয়। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের নতুন এক শুরুও বলা হচ্ছে এটিকে।

মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও খুব একটা ভয় পাচ্ছেন না হাসান মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে এই পেসার বলেন, ‘আমার মনে হয় মিরপুরে ভালো উইকেটই হবে। আমরাও এখন পর্যন্ত ভালো খেলছি। প্রথম ম্যাচটা আমরা জিতেছি। ফলে মোমেন্টামটাও আমাদের দিকেই।’

ওদিকে ডেথ ওভারে হাসানের স্পেল মুগ্ধ করেছে সবাইকে। সতেরো ও উনিশতম ওভারে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। আঁটকে রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের। ডেথ ওভারে বোলিং করার সময়ই নিজের ক্যারেক্টারটা শো করা যায় বলে মনে করেন তিনি।

ডেথে ওভারে নিজের বোলিং নিয়ে নিজের ভাবনার কথা বলছিলেন হাসান, ‘ আমার চিন্তা থাকে বল বাই বল ভালো করা। একটা বলে বাউন্ডারি হয়ে গেলেও নিজের স্ট্রেন্থেই থাকি। বাউন্ডারি নিয়ে চিন্তা করিনা। ওই সময়েই (ডেথ ওভারে) নিজের ক্যারেক্টার টা শো করা যায়।’

হাসান মাহমুদ অবশ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চার ওভারই করতে চান রক্ষনাত্মক বোলিং। কেননা এখানে প্রথম থেকে ব্যাটাররা মারমুখী থাকে। ফলে রান আটকানো কিংবা ডট বল দেয়ার চেষ্টাটাই করে যান এই পেসার।

এই ফরম্যাটে নিজের বোলিং প্ল্যান নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো মাত্র চার ওভার করতে হয়। দ্রুতই শেষ হয় যায়। টি-টোয়েন্টিতে শুরু থেকেই ডিফেন্ড করতে চাই। এই ফরম্যাটে প্রথম থেকে ব্যাটসম্যানরা মারতে চায়। তখন ডট পাওয়াটাই চেষ্টা  থাকে।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের একটা নতুন পথচলা শুরু হয়েছে। তরুণ একটা দল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছেন হেড কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। আর এই দলটাকেই সেরা মনে করছেন হাসান মাহমুদও। তিনি বলেন, ‘ ওয়ান অব দ্যা বেস্ট বাঞ্চ অব প্লেয়ার এখন টি-টোয়েন্টিতে। এখানে সবার মধ্যে ভালো করার একটা চেষ্টা আছে। তরুণ একটা দল। সবাই অনেক এনার্জিটিক।’

ওদিকে ক্যারিয়ারের একদম শুরুতে আছেন এই পেসার। তবে ইতোমধ্যেই সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে তাঁকে নিয়ে বড় পরিকল্পনাও আছে বাংলাদেশের। হাসান মাহমুদ নিজেকেও দেখতে চান সেভাবেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার শেষে অন্তত তুলে নিতে চান ৫০০ উইকেট।

হাসান বলেন, ‘অবশ্যই ৫০০ উইকেট দেখতে চাই(ক্যারিয়ার শেষে)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেভাবে কাউকে অনুসরণ করিনা। তবেঁ সবার বোলিংই দেখতে ভালো লাগে।’

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link