বেশ কিছুদিন ধরে খবরের শিরোনামে বার্সেলোনা। তবে ফুটবলীয় কোনো কারণে নয়। বার্সার সাবেক আলোচিত প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তামেউ’র অদূরদর্শীতার ফল এখন ভোগ করছে কাতালানরা। আদালতে প্রমাণিত হয়েছে রেফারির সাথে বার্সেলোনার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ। বার্রোমেউ সভাপতি থাকাকালীন লা লিগার রেফারি কমিটির সহ সভাপতি হোসে মারিয়া এনরিকুয়েজ নেগ্রেইরার সাথে ১.৪ মিলিয়ন ইউরো লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগকে বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে বার্সেলোনা। যদিও বার্সেলোনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের নেগ্রেইরার সাথে আর্থিক লেনদেন হলেও সেটি কোনো বাড়তি সুবিধা পাবার জন্য নয়, টেকনিক্যাল কনসালটেন্সির জন্য তারা নেগ্রেইরার কোম্পানি ডিএএসএনআইএল ৯৫ এর কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছিলো।
ম্যাচ চলাকালীন রেফারির কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নেবার জন্য ঘুষ দেবার বিষয়টি বারবারই অস্বীকার করে এসেছে বার্সেলোনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বার্সেলোনার বর্তমান সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেন, ‘কিউলরা শান্ত হউন। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই বিষয়ে বার্সেলোনা নির্দোষ। অবশ্যই আমরা বার্সেলোনাকে নির্দোষ প্রমাণিত করব। আরো অনেক কিছুই উদঘাটন করা বাকি আছে।’
স্প্যানিশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও জানাচ্ছে, এই মামলায় বাদী পক্ষ থেকে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নেগ্রেইরার কোম্পানিকে টাকা দেবার অভিযোগের সাপেক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করলেও সেই অর্থ ম্যাচ রেফারিকে কিনে নেবার জন্যই দিয়েছিলো তা প্রমাণ করতে পারেনি। তাই বার্সেলোনার সামনে এখনো সুযোগ আছে নিজেদের ওপর এই ঘুষ দিয়ে রেফারি কেনার অপবাদ দূর করার।
তবে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় শাস্তিই পেতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। লা লিগা থেকে অবনমনের শাস্তির মুখেও পড়তে পারে কাতালানরা। কাটা যেতে পারে এই মৌসুমের পয়েন্টও। লা লিগা প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের তেবাস এই ইস্যুতে বরাবরই কঠিন অবস্থানের কথা বলে আসছেন।