রীতিমতো গতির ঝড় তুলে পুরো বিশ্বের নজরে এসেছিলেন উমরান মালিক। ২০২২ সালে আইপিএলের সেরা আবিস্কার বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করার বিরল প্রতিভার পাশাপাশি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে নিজের উইকেট শিকারের সামর্থ্যের কথাও জানান দিলেন।
জাতীয় দলে জায়গাও করে নিলেন খুব দ্রুতই। তবে অতিরিক্ত গতির কারণেই কিনা বেশ খরুচে এই গতি তারকা। তবে ভারতের সাবেক পেসার ইশান্ত শর্মা মনে করেন খরুচে হলেও রান খরচের কথা না ভেবে উমরানকে আরো বেশি গতিতে বল করার স্বাধীনতা দেয়া উচিত টিম ম্যানেজমেন্টের।
আইপিএল থেকেই গতির কারণে সর্বমহলে উমরানের প্রসংশা হলেও সবারই উদ্বেগের জায়গা ছিল তাঁর রান খরচের প্রবণতা। এমন কি জাতীয় দলে আসার পরে গতির ঝড় তুললেও ছিলেন বেশ খরুচে। তাই খুব দ্রুতই অনিয়মিত হয়ে পড়েন ভারতীয় দলে। ভারতের জার্সিতে আটটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন উমরান। ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি অনুষ্ঠানে সাবেক পেসার ইশান্ত শর্মা বললেন, আরো বেশি গতিতে বল করার স্বাধীনতা দেয়া উচিত উমরানকে।
ইশান্ত মনে করেন ব্যাটসম্যানদের ভয় ধরানোর মত বোলিংটাই করা উচিত উমরান মালিকের। আর সেটি করতে উমরানকে সব ধরণের সহযোগিতা করা উচিত টিম ম্যানেজমেন্টের। ইশান্ত বলেন, ‘বল কোথায় পিচ করাবে সেটি নিয়ে তাঁর খুব বেশি মাথা ঘামানোর দরকার নেই। অভিজ্ঞ হবার সাথে সাথে সে এই জিনিসটি বুঝে যাবে। তাই সে যদি ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে, তাকে সেটির ওপরেই আরো বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।’
ইশান্ত আরো বলেন, ‘এত জোরে বোলিং করার দরকার কি যদি না ব্যাটসম্যানরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে না ফেলে? তাই তাকে বলা উচিত এবং বিশ্বাস যোগানো উচিত আরো বেশি জোরে বল করার জন্য যেন ব্যাটসম্যানরা সেই বল দেখতেই না পারে।’
একই অনুষ্ঠানে উইকেটরক্ষক ব্যাটার দীনেশ কার্তিক বলেন, ‘পেস বোলিংয়ের দিক থেকে চিন্তা করলে গত আইপিএলের সেরা আবিষ্কার নি:সন্দেহে উমরান মালিক। যেটা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছিলো তা হলো উমরানের গতি যেটা ভারত দলে আগে ছিল না।তাঁর ব্যাপারে চোখে পড়ার মত ব্যাপার হল সে তাঁর লেন্থের ধারাবাহিকতা নিয়ে নিয়মিত কাজ করছে কারণ যখন কেউ এতটা গতিতে বোলিং করে তখন লেন্থে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুবই কঠিন।’
আরো বেশি কার্যকরী হবার জন্য ইনিংসের শুরু এবং শেষে বোলিং করার স্কিল গুলোর প্রতি আরো মনযোগী হবার তাগিদও দেন কার্তিক,
‘এছাড়াও সে ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে বেশি বল করে থাকে। যতটা বেশি সে শুরুর পাওয়ার প্লে আর ডেথ ওভারে বল করবে তত তাঁর ২০২৩ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।’
কার্তিক মনে করেন, উমরানকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে জানতে হবে অধিনায়ককে, ‘মূল বিষয়টি হলো কিভাবে তাকে ব্যবহার করা হবে। সে অন্য বোলারদের থেকে আলাদা প্রাকৃতিক প্রতিভার দিক থেকে। তাই অন্য বোলারদের মত ওতটা জ্ঞানও নেই তাঁর। এখানেই অধিনায়ককে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে যে কিভাবে তাকে ব্যবহার করতে হবে।’