নামে ভারে ক্রিকেট মানচিত্রে ভারত বরাবরই প্রতাপশালী এক দল। আইসিসি’র র্যাংকিংয়েও যাদের আধিপত্য থাকে বছরের সিংহভাগ সময় জুড়েই। কিন্তু শেষ ১০ বছরে আইসিরি’র টুর্নামেন্টে খেলতে নামলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে দলটা। সেই যে ২০১৩ সালে ধোনির নেতৃত্বে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল, এরপর আর একটিও শিরোপা জেতেনি ভারত।
এক যুগ পর আবারো বিশ্বকাপ ফিরছে ভারতে। ২০১১ সালের পর পর আবারো ২০২৩ সালে এ বৈশ্বিক আসরের আতিথেয়তা দেবে ভারত। নিজেদের ইতিহাসে ভারত সর্বশেষ বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেছিল সেই ২০১১ সালে।
ইতিহাস বলে, ঐ বিশ্বকাপ থেকেই স্বাগতিক দেশরা বিশ্বকাপ জেতা শুরু করেছিল। এরপর ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই অজিরাই। আর ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা গিয়েছিল ইংলিশদের শিবিরে। ইতিহাসের সূত্র ধরে, তবে কি এবার বিশ্বকাপ শিরোপা উঠতে যাচ্ছে ভারতীয়দের হাতে? সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।
ভারতের শিরোপা খরার শেষ ১০ বছর যে একেবারেই বাজে কেটেছে, তা নয়। এ সময়ের মধ্যে তারা একবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে উঠেছে। একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল। কিন্তু দুইবারই রানার্সআপ হয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের। আর শেষ দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের যাত্রা থেমেছে সেমিতে। অর্থাৎ শেষ দশ বছরে তীরে এসে তরী ডুবানোর দুর্ভাগ্যেই বারবার কাটা পড়েছে ভারত। আর এ কারণেই সমর্থকদের ধৈর্যটাও দিনকে দিন দীর্ঘায়িতই হয়েছে।
ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী অবশ্য আরেকটু সময় দিতে চান। তাঁর মতে, এমন ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ঠিকই সাফল্যের দেখা পাবে ভারত। শুধু অপেক্ষা করার ধৈর্যটা থাকতে হবে। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে ভারতের দীর্ঘ সময় ধরে শিরোপার কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে ভারতের সাবেক এ কোচ টেনে আনেন শচীন টেন্ডুকার আর লিওনেল মেসিকেও।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, শচীন ৫ টা বিশ্বকাপ খেলার পর ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপে এসে শিরোপার মুখ দেখেছে। অর্থাৎ ২৪ বছরে একটা বিশ্বকাপ শিরোপা। আবার, লিওনেল মেসিকে দেখুন। নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেল। ক্যারিয়ারে অনেকটা সময় পার করার পর কোপা জিতল। এরপর থেকে তাঁর জেতা শুরু। বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলো। বিশ্বকাপ জিতলো। এর মানে আপনাকে সময় দিতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে। ভারত বেশ কিছু দিন ধরেই ভাল ক্রিকেট খেলছে। এর একটা ফল তো আসবেই। তবে সময় দিতে হবে। আরো অপেক্ষা করতে হবে।’