নতুন এক আফগান হুঙ্কার!
একটা জয়। অপেক্ষাটা এক দশক পেরিয়ে ১১ বছরের। পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কোনো ম্যাচে জয়ের দেখা পেল আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শারজায় আফগানদের জয় এসেছে ৬ উইকেটে।
একটা জয়। অপেক্ষাটা এক দশক পেরিয়ে ১১ বছরের। পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কোনো ম্যাচে জয়ের দেখা পেল আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শারজায় আফগানদের জয় এসেছে ৬ উইকেটে। খবরটা হয়তো এতক্ষণে পুরনো হয়ে গেছে – তবে এই বীরত্বের রেশ থাকবে বহুকাল।
বাবর, রিজওয়ানডের বিশ্রামে রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ সিরিজে একদম তারুণ্য নির্ভর দল গড়েছিল পাকিস্তান। আর তার খেসারত দিতে হয়েছে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শাদাব খানের দল গুটিয়ে যায় ৯২ রানেই।
পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে শুরুর ধ্বসটা নামিয়েছিলেন ফজল হক ফারুকী। ব্যক্তিগত ৬ রানে ফারুকির বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিস। এরপর তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা আব্দুল্লাহ শফিক আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শূন্য রানেই।
অভিষিক্ত সাইম আইয়ুব অবশ্য ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৭ রানে নাভিন উল হকের বলে বোল্ড হয়ে তিনিও ফিরে যান। এরপর আজম খান শূন্য রানে বিদায় নিলে ৪১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
শাদাব খান আর ইমাদ ওয়াসিম অবশ্য একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটি আর পাকিস্তানের ইনিংসকে লম্বা করতে পারেনি। ফারুকির পেস তোপ, আর মুজিব, নাবির স্পিন ঘূর্ণিতে ১০০ রানের আগেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
৯২ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও ম্যাচ অনেকটা জমিয়ে তুলেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৫ রানেই আফগানদের প্রথম ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল ইহসান উল্লাহ, নাসিম শাহ্রা। তবে আফগানদের সাময়িক সে বিপদ কাটিয়ে ওঠে মোহাম্মদ নবী আর নজিবউল্লাহ জাদরানের সৌজন্য।
তাদের নিরবচ্ছিন ৫৩ রানের জুটিতে ১৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে ৩৮ রান আর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ নবী।
এই নবী বেশ ক’দিন হল ছিলেন দলের বাইরে। বয়সও অনেক হয়েছিল। সেই নবী যে এভাবে ফিরে এসে আফগানদের ম্যাচ জেতাবেন সেটা কেই বা ভেবেছিল। তিনি ফিরেছেন, আফগানরা পেয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়। এবার উল্লাস করাই যায়!