আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ দুই দেশের সম্পর্কের শুরুটা অনেক আগে। সেই দিয়াগো ম্যারাডোনার সময় থেকে আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রেমের শুরুটা হয় এই ভূখণ্ডে। ফুটবলের মাধ্যমে শুরু হওয়া পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই জনপদের প্রেমটা স্বীকৃতি পায় কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন। এতদিন প্রেমটা অনেকটা এক-পাক্ষিক থাকলেও বিশ্বকাপ চলাকালীন আর্জেন্টিনা আর মেসির প্রতি বাংলাদেশের অকুন্ঠ সমর্থনের বিষয়টিকে এক অর্থে স্বীকৃতি দেয় আর্জেন্টিনা।
সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতেই কিনা বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসতে চায় বাংলাদেশে। সামনের জুনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার নির্ধারিত সূচিতে বিভিন্ন দেশে খেলার প্রস্তাব থাকলেও বাংলাদেশের মাটিতেই প্রীতি ম্যাচ খেলতে বেশি আগ্রহী আলবিসেলেস্তেরা। জুনের সেই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের উইন্ডোতে বাংলাদেশে খেলতে আসছে আর্জেন্টিনা তা মোটামুটি নিশ্চিত।
কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও ফলাও করে খবর ছাপায় বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টাইন ফুটবলের প্রতি উন্মাদনার বিষয়টি।
এই ব্যাপক আলোচনা নজর এড়ায়নি আর্জেন্টিনার মানুষ ও সরকারের উপর মহলেরও। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার জন্য বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারেই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ধন্যবাদ জানান মেসির পরিবারের মানুষ সহ আর্জেন্টিনার নাগরিকরা। ফুটবলের মাধ্যমে হওয়া দুই দেশের এই সম্পর্কের অন্যতম স্বীকৃতি হয়ে আসে আর্জেন্টিনার সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। প্রায় ৪৫ বছর পর পুনরায় ঢাকায় চালু হয় আর্জেন্টিনার দূতাবাস।
আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশন (এএফএ) এবার সেই ভালোবাসার কিছুটা হলেও ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশে এসে প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রীতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে তারা।
বিভিন্ন আর্জেন্টাইন ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানাচ্ছে, জুন মাসে বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে আসবে লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজরা। ঢাকায় দুটো ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে আলবিসেলেস্তেরা। বাংলাদেশের পর আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ হবার বিবেচনায় আছে চীন।