বিশ্বকাপের আগে পরিবার নিয়ে ব্যস্ত রোহিত

অজিদের কাছে সিরিজ হারের পর ভারতীয় দলকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া হচ্ছে পুরো ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়। প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ছুটি নেয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে কাঠগড়ায়।

বিশ্বকাপের আর বাকি মাস ছয়েক। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ভারতকেই শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবীদার মানছেন সবাই। এক যুগ ধরে কোনো আইসিসি ট্রফি না জেতা ভারতও পাখির চোখ করেছে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপকে। কিন্তু সেই পূর্ণ-শক্তির ভারতই কিনা ঘরের মাঠে সিরিজ হেরে বসলো অস্ট্রেলিয়ার কাছে।

অজিদের কাছে সিরিজ হারের পর ভারতীয় দলকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া হচ্ছে পুরো ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়। প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ছুটি নেয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে কাঠগড়ায়।

পারিবারিক কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ওয়ানডে থেকে ছুটি নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রোহিতকে ছাড়াই সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারালেও রোহিত ফিরে আসার পর পরের দুই ম্যাচে অজিদের কাছে পাত্তাই পায়নি টিম ইন্ডিয়া। স্টিভেন স্মিথের দলের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে।

পারিবারিক ব্যস্ততায় ভারতের এমন গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে ছুটি নেয়াটা মোটেও মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কার। রোহিতের অনুপস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতের বারবার অধিনায়ক বদলকেও সমর্থন করেন না গাভাস্কার। বিশ্বকাপের বছরে ভারতের সব গুলো ম্যাচই অধিনায়কের খেলা উচিত বলে মনে করেন এই সাবেক ব্যাটার।

গাভাস্কার বলেন, ‘আমার মনে হয় রোহিতের সবগুলো ম্যাচই খেলা উচিত। এমন অধিনায়ক হওয়া উচিত নয় যে, এক ম্যাচের জন্য থাকবে আবার পরের ম্যাচের জন্য থাকবে না। এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটা যে কারো সাথেই হতে পারতো। কিন্তু আমি জানি এটি পারিবারিক ব্যস্ততা ছিল রোহিতের যেখানে তাঁর থাকতেই হতো। কিন্তু যখন সামনে বিশ্বকাপ, তখন আপনার পারিবারিক কাছে ব্যস্ত থাকা উচিত না। এটা খুবই সহজ ব্যাপার। বিশ্বকাপের আগেই নিজের সব ব্যস্ততা শেষ করে উচিত যতক্ষন না পর্যন্ত এটি জরুরি অবস্থা হয়। জরুরি অবস্থার বিষয়টি আলাদা।’

দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিতের দলে ফেরার পর দশ উইকেটের বিরাট ব্যবধানে হারে ভারত। অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজে ব্যর্থ রোহিত, ব্যাট হাতেও ছিলেন না ছন্দে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ রানের পর সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে করেন ৩৩ রান। টপ অর্ডারে রোহিতদের ব্যর্থতায় ভারতও হেরেছে সিরিজ।

গাভাস্কার বলেন, ‘অধিনায়কত্বে ধারাবাহিকতা থাকা উচিত। তখন যে বিষয়টি হয় তা হলো আপনি অনুভব করবেন যে সবাই আপনার সাথে আছে। না হলে দুইজন নেতা হয়ে যায় দলে।’

বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে ঘরের মাঠে ভারতের এমন নাস্তানাবুদ হওয়া মেনে নিতে পারছেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াও সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ছে নিশ্চিতভাবেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...