টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা ব্যাটার তিনি। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরমেটে তাকে আটকে রাখাটা যেন প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিলো বিশ্বজুড়ে সব বোলারদের। সুরিয়াকুমার যাদবের অভিনব সব শটের যেন কোনো জবাব থাকতো না বোলারদের।
কিন্তু সেই সুরিয়া যেন রান করতেই ভুলে গেছেন। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজের তিনটি ওয়ানডেই গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সুরিয়া। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর আইপিএলেও পাল্টায়নি দৃশ্যপট। নিজেকেই যেন হারিয়ে খুঁজছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ব্যাটার।
সুরিয়ার এই চরম অফফর্ম ভোগাচ্ছে মুম্বাইকেও। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে আইপিএলের সফলতম দল মুম্বাই। দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে একেবারে শেষ বলে গিয়ে জয় নিশ্চিত করে রোহিত শর্মার দল। এদিনও স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেননি সুরিয়াকুমার।
যদিও এদিন ইনজুরি নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলেন সুরিয়া। ম্যাচের প্রথম ইনিংসের ১৭ তম ওভারে দিল্লী ক্যাপিটালস ব্যাটার অক্ষর প্যাটেলের ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোখের ওপরের অংশে আঘাত পান সুরিয়া। সাথে সাথেই চিকিৎসার জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে।
মারাত্মক ভাবে ব্যাথা পেলেও নিজের ব্যাটিং পজিশন চার নম্বরেই ব্যাটিংয়ে নামেন সুরিয়া। মুম্বাই কোচ মার্ক বাউচার জানালেন, ব্যাথা পাওয়া সত্ত্বেও নিজে থেকেই চার নম্বরেই ব্যাট করতে চেয়েছেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। বেশ কিছু মৌসুম ধরেই মুম্বাইয়ের হয়ে চার নম্বরেই ব্যাট করেন সুরিয়া।
মার্ক বাউচার বলেন, ‘মাঠে সে ব্যাথা পেয়েছিলো এবং যখন সে ব্যাট করতে যাচ্ছিলো তখন তাঁর চোখ ফোলা ছিলো। সেখানে ওর বরফ দিতে হচ্ছিলো। আমি তখন ভাবছিলাম তাকে আরো কিছুটা নিচের দিকে ব্যাট করানো যায় কিনা। বাথরুমে তাঁর সাথে আমার দেখা হলো এবং সে বললো, “কোচ,আমি চার নম্বরেই ব্যাট করতে চাই।”
সুরিয়ার এমন কথায় রীতিমতো মুগ্ধ ছিলেন বাউচার। ম্যাচ জয়ের পর ড্রেসিংরুমে সকলের কাছে এই ঘটনা তুলে ধরেন দক্ষিন আফ্রিকার সাবেক এই কোচ। রান না পেলেও সুরিয়ার মত এমন মানসিকতার খেলোয়াড়রা দলের জন্য অনেক বড় সম্পদ বলেও মনে করেন বাউচার।
বাউচার আরো বলেন, ‘এই ধরণের মানসিকতার খেলোয়াড়ই ড্রেসিংরুমে দরকার। যখন কঠিন পরিস্থিতি আসে তখন তারা ভয় পেয়ে ড্রেসিংরুমে লুকিয়ে থাকে না। তারা মাঠে নেমে মোকাবেলা করতে চায়।’