পাঁচ ম্যাচে টানা পাঁচ হার। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দিল্লী ক্যাপিটালসকে নিয়ে তাই সমালোচনার শেষ নেই দলের ভেতরে বাইরে। হারের চেয়েও বড় কথা পাঁচটি ম্যাচেই খুব একটা লড়াই করতেই পারেনি দিল্লী।
সর্বশেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছেও করতে হয়েছে অসহায় আত্মসমর্পণ। অথচ দিল্লীর কোচিং প্যানেলে রয়েছে বাঘা বাঘা সব নাম। হেড কোচ রিকি পন্টিং, ক্রিকেট পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলি আর সহকারী কোচ হিসেবে আছেন সাবেক অজি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন।
এমন তারকার ঠাসা কোচিং প্যানেল নিয়েও এমন নাজেহাল অবস্থা হওয়ায় সমালোচনাটা যেন আরো বেশি দিল্লী ক্যাপিটালসের। ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ তো রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন দিল্লী ম্যানেজমেন্টকে। দিল্লীর এমন বাজে অবস্থার দায় পুরোটাই রিকি পন্টিংয়ের ওপরই দিতে চান শেবাগ। দিল্লী দলে পন্টিং-গাঙ্গুলিদের ভূমিকা কি সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেবাগ।
ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, ‘সত্যি বলতে, কোচিং স্টাফে যারা আছেন, তাঁরা কোনো অবদান রাখতে পারছেন না। খেলোয়াড়েরা খারাপ খেললে দল কতটা শক্তিশালী, তাতে কিছু যায়-আসে না। আপনার ড্রেসিংরুমে বড় মানের অনেকে থাকতে পারে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা রান না পেলে, বোলাররা উইকেট না পেলে তাঁদের থেকে কী লাভ?’
শেবাগ আরো বলেন, ‘যখন একটা দল জেতে তখন কোচকে কৃতিত্ব দেয়া হয়, তাই যখন দল হারবে তখন এর দায়ও তাকে নিতে হবে। এর আগেও আমরা বহুবার বলেছি পন্টিং দারুণ কাজ করছে। দলকে ফাইনালে তুলেছে, দলটা প্রায় প্রতিবছরই প্লে অফে খেলছে। সে এসব কিছুর জন্য প্রশংসা পেয়ে এসেছে। তাই এখন তাকে এই হার গুলোর দায়ও নিতে হবে।’
খেলোয়াড়দের যথেষ্ঠ অনুপ্রেরণা দিতে পারছেন না পন্টিং, এমনটাই মনে করেন শেবাগ। তিনি বলেন, ‘এটা ভারত দল নয় যে জিতলে প্রশংসা কুড়াবেন আর হারলে অন্য কাউকে দোষ চাপাবেন। আইপিএলে কোচের ভূমিকা নগন্য। মূল কাজটা হলো খেলোয়াড়দের ঠিকভাবে পরিচালনা করা আর তাদের অনুপ্রেরণা যোগানো। কোচকে তখনই ভালো মনে হয় যখন দল জিততে থাকে। যেটা দিল্লী করতে পারছে না। আমার মনে হয় দিল্লী এখন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে তারা এখন খুবই বিভ্রান্ত।’