সৌরভ-বিরাটের হাত মেলাতে অস্বীকৃতি

ঘটনার শুরুটা অবশ্য খানিকটা পেছনে। সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন তখন বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি। সেই সময়ে ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে হটিয়ে দেওয়া হয় বিরাট কোহলিকে। সেখান থেকেই ভারতীয় দুই কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের সম্পর্কের অবণতি।

চাপা উত্তাপ। দু’জনের সম্পর্কের ফাটলটা ধরেছিল বহু আগেই। আবারও যেন সেই মাটি চাপা পড়ে যাওয়া কেঁচো নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে রেষারেষিটা নতুন এক রুপ নিয়েছে। বিরাট কোহলি আর সৌরভ গাঙ্গুলি একে অপরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টাই করেছেন। সেটা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।

ঘটনার শুরুটা অবশ্য খানিকটা পেছনে। সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন তখন বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি। সেই সময়ে ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে হটিয়ে দেওয়া হয় বিরাট কোহলিকে। সেখান থেকেই ভারতীয় দুই কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের সম্পর্কের অবণতি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ ছিল আইপিএলে। সৌরভ গাঙ্গুলি রয়েছেন দিল্লী ক্যাপিটালসের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। অন্যদিকে বিরাট কোহলি যথারীতি ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতায় কর্মদনে অনীহা প্রকাশ করেন দুইজন।

সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে আসা প্রতিটা খেলোয়াড়ের সাথে হাত মিলিয়েছেন গাঙ্গুলি ও বিরাট। এমনকি দিল্লির হেডকোচ রিকি পন্টিংয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথাও বলে বিরাট। সে সময়ই তাদেরকে এড়িয়ে চলে যেতে দেখা যায় গাঙ্গুলিকে। এছাড়া ম্যাচ চলাকালীন সময়ে দুইজনের মধ্যে শীতল দৃষ্টি বিনিময় হয়েছে। সেই দৃশ্যও এড়ায়নি ক্যামেরা।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বিরাট। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল অধিনায়কত্ব ছেড়ে না দিতে। কেননা বোর্ড সাদা বলের ক্রিকেটে একজন অধিনায়ক রাখতে চেয়েছিল। তেমনটাই জানিয়েছিলেন সে সময়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।

তবে পরবর্তীতে বহু জলঘোলা হওয়ার পর, বিরাট জানিয়েছিলেন তাকে নাকি এই বিষয়ে কোন কিছু জানানোই হয়নি। বরং সাদরে তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি গ্রহণ করা হয়েছিল বোর্ডের পক্ষ থেকে। দুই জনের এমন মুখোমুখি মন্তব্যেই সম্পর্কের অবণতি।

মাঝে একটা লম্বা সময় পেরিয়ে গেছে। সৌরভ নেই এখন আর বিসিসিআইয়ের সভাপতির মসনদে। বিরাটও নেই কোন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বে। তবুও ভেঙে যাওয়া সম্পর্কে উন্নতি আর হয়নি। অন্তত সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনাটা সমাধানের ইঙ্গিতও দিচ্ছে না।

যদিও এসব নিয়ে চিন্তার করবার সময়ই যেন নেই বিরাট কোহলির। তিনি নিজের পারফরমেন্সেই রাখছেন পূর্ণ ফোকাস। এবারের আইপিএলে রানের ধারায় নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন বিরাট। এখন অবধি তিনটি অর্ধ-শতকের দেখা পেয়ে গেছেন তিনি। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রয়েছেন তিন নম্বরে।

তবে সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না সৌরভ গাঙ্গুলির। তার দল দিল্লী ক্যাপিটালস রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পথ খোঁজাই এখন যেন গাঙ্গুলির প্রধান মাথা ব্যথার কারণ। তবুও এই দুই কিংবদন্তির এমন মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের অপ্রিয়। হয়ত অদূর ভবিষতে মিটে যাবে সকল বিভেদ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...