এশিয়া কাপের বাকি নেই আর ছয় মাসও। কিন্তু এখনো পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এই এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তার শেষই হচ্ছে না। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে (এসিসি) এরই মধ্যে আলোচনা হচ্ছে এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেল নিয়ে। ভারত এরই মধ্যে পাকিস্তানে খেলতে না যাবার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ভারতের ম্যাচ গুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের ব্যাপারব রাজিও হয়েছিলো।
তবে অংশগ্রহণকারী বাকি দেশ গুলোর মতামত এবং ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি এসিসি। গুঞ্জন আছে, পুরো আসরটাই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে এসিসি। তবে এশিয়া কাপ ঘরের মাঠে আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান। এমনকি এসিসি পুরো এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে চাইলে এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকিও দিয়েছে তারা।
এসিসির বেশির ভাগ আর্থিক যোগান আসে ভারত থেকে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশটি শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বের সবচেয় বড় ক্রিকেট বাজার হিসেবে গণ্য হয়। তাই ভারকে ছাড়া এসিসি এশিয়া কাপ আয়োজন করবে না তা নিশ্চিত। পাকিস্তানকে ছাড়াই আয়োজন করবে সেটি ভাবাটাও বোকামি। কারণ এশিয়া কাপের মত আসরের ৮০ শতাংশের বেশি রেভিনিউটা আসে ভারর-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে।
তাই এসিসি এখন বিরাট এক দোটানায় আছে তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান ছাড় যদি কাউকে দিতেই হয় সেটি যে পাকিস্তানকেই দিতে হবে তা নিশ্চিত। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের অবস্থান আর ক্রিকেট বাজার সব মিলিয়ে ভারত তাদের নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় থাকবে সেটি নিশ্চিত। আর পাকিস্তান যে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকতে পারবে না সেটি স্বীকার করেন স্বয়ং পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাই।
পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়াও পাকিস্তানকে নিজেদের লাভের জন্যই নিজেদের অবস্থান থেকে ছাড় দিতে বললেন। কানেরিয়ার মতে ভারতের সাথে ধীরে ধীরে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করা উচিত পাকিস্তানের যেন ভারত এখানে এসে খেলতে রাজি হয়।
কানেরিয়া বলেন, ‘কিছুটা নত হও। এশিয়া কাপটা দুবাইতেই আয়োজন করো। বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাও। এর মধ্যে ভারতের সাথে সম্পর্কটা উন্নয়ন করো আর ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে পাকিস্তানে আনার চেষ্টা করো।’