প্রথম বলে উইকেট। অভিষেকে রেকর্ড বইয়ে আফগান পেসার নিজাত মাসুদ। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেটের স্বাদ পাওয়া প্রথম আফগান ক্রিকেটার তিনি।
ক্যারিয়ারের প্রথম বলে বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বোলার মাসুদ। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কান পেসার চামিলা গামাগে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলে বোল্ড করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে। গামাগেরও সেটি ছিল অভিষেক টেস্ট।
মাসুদকে নিয়ে সব মিলিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার ঘটনা হলো ২২টি। সবার আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন টম হোরান। ১৮৮৩ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের ওয়াল্টার রিডকে বোল্ড করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার। হোরানের অবশ্য সেটি অভিষেক টেস্ট ছিল না। মূলত তিনি ছিলেন ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের দশম টেস্টে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে সফল হন তিনি শুরুতেই।
এরপর যারা নানা সময়ে ক্যারিয়ারের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগের ক্যারিয়ার খুব সমৃদ্ধ হয়নি। তবে ব্যতিক্রম ন্যাথান লিঁও। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে কুমার সাঙ্গাকারার উইকেট নিয়ে তার শুরু। এই তিনি এখন টেস্ট ইতিহাসের সফলতম অফ স্পিনার। ১২০ টেস্টে তার শিকার ৪৮৭ উইকেট।
এছাড়া প্রথম বলে উইকেট শিকারিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন কেবল আর ইংলিশ অলরাউন্ডার মরিস টেট, অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার কিথ মিলার ও পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ইন্তিখাব আলম…
মাসুদের আগে সর্বশেষ এই কীর্তি গড়তে পেরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হার্ডান ভিলিওন। ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে এই ফাস্ট বোলার আউট করেন ইংলিশ গ্রেট অ্যালেস্টার কুককে। সেই অভিষেক টেস্টই এখনও পর্যন্ত হয়ে আছে তার একমাত্র টেস্ট।
তবে, বাংলাদেশের কোনো বোলার এখনও পর্যন্ত এই স্বাদ পাননি।
ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছেন ৩০ জন। সেই তালিকায় আছেন ইনজামাম-উল-হক (ব্রায়ান লারার উইকেট), সদাগোপেন রমেশের নামও। বাংলাদেশ থেকে আছেন একমাত্র মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ২৫ জন। বাংলাদেশের বোলারদর মধ্যে আছেন কেবল তাইজুল ইসলাম।
এই ২৫ জনের মধ্যে একজন অবশ্য ‘টেকনিক্যালি’ উইকেট নিয়েছেন কোনো বল করার আগেই! সেই বোলারের নাম বিরাট কোহলি। তার বলে স্টাম্পড হয়েছিলেন কেভিন পিটারসেন, কিন্তু বলটি ছিল ওয়াইড। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই বলেই উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ ও লকি ফার্গুসন।
– ফেসবুক থেকে