ভারতের অধ:পতনের মূলে কোহলির সিদ্ধান্ত

অনেকটা অভিমান করেই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সফল টেস্ট অধিনায়ক হবার পরেও অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়েছিলো তাকে নানান চাপে পড়ে।

তবে, বিরাটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সুখস্মৃতি নেই খুব একটা। উলটো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারার পর ভারতজুড়ে গুঞ্জন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বিরাটকে।

শুধু ভারতীয়রাই নন, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বিরাটকে মিস করছেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রাও। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট মনে করেন, বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর থেকেই টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের অধ:পতনের শুরু হয়েছে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে নাস্তানাবুদ হবার পর চারদিক থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে ভারত। বিশেষ করে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বেশিরভাগ লোক।

প্রথমদিন থেকেই রোহিতের রক্ষণাত্মক মনোভাবের সমালোচনাই হচ্ছে চারদিকে। এছাড়াও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলার রবীচন্দন অশ্বিনকে একাদশের বাইরে রাখাকেও ভারতের হারের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে।

ফাইনালের পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরো সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন রোহিত। এমনকি টেস্ট হারের পর রোহিতের এমন ছেলেমানুষী অযুহাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো হাস্যরসও তৈরি হয়েছে।

সালমান বাট বলেন, ‘রোহিত শর্মা প্রশ্ন তুললো যে কেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সে এটাও বললো যে ফাইনাল ইংল্যান্ড থেকে সরিয়ে নেয়া উচিত। মানুষ তখনই এমন তর্ক করে যখন ফলাফল তাঁর পক্ষে না যায়।’

এছাড়াও ফাইনালের আগে ভারতের প্রস্তুতির যথেষ্ঠ ঘাটতি ছিলো বলেও মনে করেন বাট, ‘এসব নিয়ে কথা না বলে আমরা কোনটাকে অগ্রাধিকার দেব সেটা নিয়ে কথা বলা উচিত। যদি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ভারত অগ্রাধিকার দিতো তাহলে তারা আরো ২০ দিন আগেই আইপিএল শেষ করতো। তাদের উচিত ছিলো ফাইনালের ১৫ দিন আগে তাদের দলকে ইংল্যান্ডে পাঠানো যেন তারা কাউন্টি দল গুলোর সাথে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারে।’

এছাড়াও রোহিতের অধিনায়কত্ব মোটেও পছন্দ হচ্ছে না পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বিরাটকেই যোগ্য মনে করেন বাট।

তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে দেশের বাইরে ভারতের রেকর্ড ভালো। যেদিন থেকে কোহলি অধিনায়কত্ব ছেড়েছে সেদিন থেকেই তাদের অধঃপতন শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই কিছুই ঠিকঠাক যাচ্ছে না। অধিনায়ক ছাড়াও তারা ভারতের মাটিতে টেস্ট জিততো। অধিনায়কত্ব একমাত্র এওয়ে ট্যুর গুলোতেও পরখ করা যায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link