যে কীর্তি আট বাংলাদেশিরও আছে

নিজের অভিষেক ম্যাচে প্রথম বল করার পরই রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন।টেস্ট ক্রিকেটে নিজাত মাসুদ সপ্তম বোলার যিনি নিজের অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছেন। এরপর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাঁচ উইকেট নেবার মাধ্যমে গড়লেন আরো এক রেকর্ড। দ্বিতীয় আফগান ও টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে ১৬৭ তম বোলার হিসেবে অভিষেক ইনিংসেই পাঁচ উইকেট নেবার কীর্তি গড়লেন এই পেসার।

নিজের অভিষেক ম্যাচে প্রথম বল করার পরই রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন।টেস্ট ক্রিকেটে নিজাত মাসুদ সপ্তম বোলার যিনি নিজের অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছেন।

এরপর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাঁচ উইকেট নেবার মাধ্যমে গড়লেন আরো এক রেকর্ড। দ্বিতীয় আফগান ও টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে ১৬৭ তম বোলার হিসেবে অভিষেক ইনিংসেই পাঁচ উইকেট নেবার কীর্তি গড়লেন এই পেসার।

মাসুদের আগে অভিষেকে আফগানদের হয়ে পাঁচ উইকেট নেবার কীর্তি আছে আমির হামজারও। এই ১৬৭ বোলারের মধ্যে বাংলাদেশের আছেন আটজন বোলার। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

দুর্জয়ের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেবার কীর্তি গড়েছিলেন মনজুরুল ইসলাম। এরপর ২০০৯ সালে সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

মূলত অফস্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা রিয়াদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নিজের অভিষেকেই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। অভিষেক ম্যাচের সেই ফিগারটিই রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ফিগার হয়ে আছে এখনো।

রিয়াদের পর চতুর্থ বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট নিয়ে রেকর্ড বুকে নাম লেখান বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানি। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ ৯৪ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন সানি।

এরপরের কীর্তিটা সোহাগ গাজির। ২০১২ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে একই ম্যাচে হ্যাট্রিক সহ পাঁচ উইকেট ও সেঞ্চুরি হাঁকানো সোহাগের টেস্ট ক্যারিয়ার অবশ্য থেমে আছে মাত্র ১০ টেস্টেই।

সোহাগ গাজীর পর এই কীর্তিটা স্পিনার তাইজুল ইসলামের। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। সোহাগ, ইলিয়াস সানিরা দ্রুতই বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে হারিয়ে গেলেও গত নয় বছর ধরে নিয়মিতই টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাইজুল।

২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজের এই কীর্তিটা অবশ্য ঐতিহাসিক। টেস্ট অভিষেকে ইংল্যান্ডকে প্রায় একাই হারিয়ে দিচ্ছিলেন মিরাজ।

অভিষেক ইনিংসেই ৮০ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় উপহার দেন মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ এই রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়ে অষ্টম বাংলাদেশী হিসেবে এই কীর্তি গড়েন চট্টগ্রামের এই অফস্পিনার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...