জায়গাটা হারিয়েছিলেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে জাতীয় দলে কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার পর। তবে, হাতুুরুসিংহে অবশ্য জাতীয় দলের দরজা খোলাই রেখেছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুবর জন্য। এবার সেই খোলা দরজা দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দিয়ে ফের ওয়ানডে দলে ঢুকে গেলেন আফিফ।
তাঁর সাথে যোগ হয়েছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও। নাঈমকে ফেরানোর কারণ দু’টো। প্রথমত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার আবাহনীর হয়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন নাঈম। ১৬ ইনিংসে করেন ৯৩২ রান। এটাই জাতীয় দলের জন্য তাঁর পথ সুগম করেছে।
অন্যদিকে, আরেক ওপেনার রনি তালুকদার অসুস্থ। ফলে, একজন ওপেনার দরকার ছিল বাংলাদেশের। এর আগে দুই দফা ওয়ানডে দলে ডাক পেয়ে দু’টো ম্যাচ খেলেন নাঈম। নাঈম সর্বশেষ ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপের পর আর জাতীয় দলে খেলেননি।
এক ম্যাচ খেলেই ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। অবশ্য, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত সিরিজে তিনি ছিলেন মূলত তাসকিন আহমেদের ব্যাকআপ। এবার তাসকিন ফিরে আসায় তাঁর আর জায়গা হয়নি।
৫০ ওভারের ফরম্যাট থেকে আরও বাদ পড়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। বলাই বাহুল্য যে, ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দু’জনই মিরপুরে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে একাদশে ছিলেন না।
ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন ঈদুল আজহার পর। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী পাঁচ, আট ও এগারো জুলাই। সবগুলো ম্যাচই হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এর আগে এক টেস্টে রেকর্ড গড়ে আফগানদের বিপক্ষে ৫৪৬ রানের বড় জয় পায় লিটন দাসের বাংলাদেশ দল।
- আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড: তামিম ইকবাল খান (অধিনায়ক), লিটন কুমারন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।