শেবাগকে অধিনায়ক বানাতে চেয়েছিলেন চ্যাপেল

গ্রেগ চ্যাপেলের যুগ ভারতীয় ক্রিকেটের এক অন্ধকার অধ্যায়। বিশেষ করে তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে তাঁর রেষারেষি নিয়ে রীতিমত উপন্যাস লেখা যেতে পারে। সৌরভের অধিনায়কত্ব ক্যারিয়ার তো বটেই খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করার পেছনেও এই অজি কোচের অবদান কম নয়।

ভারতীয় কোচরা কি পক্ষপাতদুষ্ট? – এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেবাগ টেনে আনলেন গ্রেগ চ্যাপেলকে। জন রাইটের পরে কোনো ভারতীয় কোচ জাতীয় দলের দায়িত্ব পাননি ঠিক এই পক্ষপাতের কারণেই।

শেবাগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সবাই মনে করত, বিদেশি কোচ এলে এই পক্ষপাতের ব্যাপারটা উঠে যাবে। বিদেশি কোচেরা এক জন ক্রিকেটারের দক্ষতা অনুযায়ী তাকে বিচার করবে। কিন্তু এই ধারণাটাও ঠিক ছিল না। বিদেশি কোচেদেরও পছন্দ-অপছন্দের ক্রিকেটার ছিল।’

শেবাগ গ্রেগ চ্যাপেলের কোচিংয়ের একদম শুরুর দিককার স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, ‘বিদেশি কোচেরাও কিন্তু নাম দেখত। সেটা শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, ভিভিএস লক্ষ্মণ— যে কেউ হতে পারে। গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হয়ে আসার পরে প্রথমেই বলেছিলেন, শেবাগ দলের অধিনায়ক হবে। অধিনায়কত্ব ভুলে যান। দু’মাসের মধ্যে আমি দলের বাইরে চলে গিয়েছিলাম।’

তবে, বিদেশি কোচের বিরুদ্ধে নন শেবাগ। তিনি মনে করেন, তাঁর সময়ে ভারতীয় দলের সেরা কোচ ছিরেন গ্যারি কার্স্টেন।

শেবাগ বলেন, ‘আমার দেখা ভারতের সেরা কোচ ছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। আমাকে অনুশীলনে ৫০টা বল খেলতে দিতেন। তার পরে বলতেন, হয় বাড়ি চলে যেতে, না হলে হোটেলে ফিরে যেতে। রাহুল দ্রাবিড় ২০০ বল খেলত, শচীন খেলত ৩০০ বল, গম্ভীর ৪০০। কার্স্টেন জানতেন, কোন ক্রিকেটারের কী প্রয়োজন।’

বোঝাই যাচ্ছে, কোচ বিষয়ক আলোচনা আবারও জমে উঠেছে ভারতে। গত ১০ বছরে চারবার কোনো বৈশ্বিক আসরে রানার আপ হলো ভারত। আর এতে করেই আলোচনাটা বেশ সরব হয়ে উঠেছে।

কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গাটা এখন বেশ নড়বড়ে। এমনকি বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিবি) কোচ পাল্টানোর পথেও হাঁটতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link