এশিয়া কাপ নিয়ে নাটকীয়তা যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। ইতোমধ্যে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটির সূচি চূড়ান্ত হয়েছে; হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে এটি আয়োজন করবে। কিন্তু মূল আয়োজক পাকিস্তান এখনো ভারতের উপর চাপ দেয়া বন্ধ করেনি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আবারো এশিয়া কাপ এবং ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়েছে। বর্তমান পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফ এবং দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী ভারতকে পাকিস্তানে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যেকোনো মূল্যে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে ম্যাচ খেলাতে চায় তাঁরা।
এমনকি ভারত এশিয়া কাপের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভ্যানুতে খেললে পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাবে না বলেও দাবি উঠেছে পিসিবির পক্ষ থেকে। এশিয়া কাপের মত বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভ্যানুতে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে পাক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দুই পক্ষের এমন টানাপোড়েনের মাঝেই আবার নতুন কৌশল তৈরি করেছে জাকা আশরাফ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন বোর্ড। নিকট ভবিষ্যতে ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আগ্রহী পাকিস্তান – এমনটাই জানিয়েছে তাঁরা।
ভারতের বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর সেক্রেটারি জয় শাহের সঙ্গে আলোচনা করার ব্যাপারে আশাবাদী সত্তর বছর বয়সী পিসিবি চেয়ারম্যান। সেখানে জয় শাহকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য রাজি করাতে চান জাকা আশরাফ।
মঙ্গলবার জাকা আশরাফ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দুইটি ক্রিকেট সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার জন্য আমি জয় শাহের সঙ্গে বৈঠক করব।’
২০০৭ সালের পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া দীর্ঘ একটা সময় পাকিস্তানে যায়নি দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। তাই জাকা আশরাফের প্রস্তাব অনুমোদন পাবে না বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশে ভ্রমণ না করার ব্যাপারে একেবারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
তবে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদের এমন দাবিদাওয়ার মুখে নতুন করে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ নিয়ে। কেননা পাকিস্তান দল, ভারতে না গেলে নতুন করে সূচি তৈরি করতে হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে। এছাড়া করতে হবে নতুন পরিকল্পনা।
আবার বাবর আজমদের ছাড়া বিশ্বকাপ আয়োজন করলে নি:সন্দেহে রং হারাবে এবারের আসর। আবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বিশাল অংকের রেভিনিউ থেকেও বঞ্চিত হবে আইসিসি। এখন দেখার বিষয় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা কিভাবে সামাল দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।