মাঠের বাইরের ঘটনায় কিংবা কোড অব কনডাক্টে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘নয় ছয়’ করা নতুন কোনো খবর নয়। এ বছরেই ফিটনেস ইস্যুতে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। তা নিয়ে শোরগোল পড়েছিল ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়। তবে এবার ফিটনেস ইস্যু নয়, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপিং টেস্ট নিয়ে উঠে আসলো বিস্ফোরক এক তথ্য।
মূলত ক্রীড়াবিদদের ডোপিং নিয়ে কাজ করে থাকে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)। আর তাদেরই তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ভারতে ডোপ টেস্ট করা হয়েছে ৫৯৬১ টি। যার মধ্যে মাত্র ১১৪ টি টেস্ট হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। এমন অপর্যাপ্ত টেস্ট নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব ডোপিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০১৯ সালের আগস্টে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (নাডা) আওতায় আনা হয় ক্রিকেটকে। তখন থেকেই মূলত ভারতীয় ক্রিকেটারদের উপর ডোপিং টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু নাডার রিপোর্ট বলছে ভিন্ন কথা।
তাদের তথ্য অনুসারে ২০২১ ও ২০২২ সালে মোট ৫,৯৬১ টি অ্যান্টি-ডোপিং পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র এক চতুর্থাংশেরও কম অর্থাৎ মাত্র ১১৪টি পরীক্ষা করা হয়েছে ক্রিকেটারদের উপর। সর্বোচ্চ ১,৭১৭ টি পরীক্ষা করা হয়েছে অ্যাথলেটিকসে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ বার ডোপিং টেস্ট করা হয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মার উপর। আর মাত্র একবার করে ডোপিং টেস্ট করা হয়েছে ঋষাভ পান্ত , সুরিয়াকুমার যাদব, চেতেশ্বর পুজারাসহ আরও সাত ক্রিকেটারের উপর।
কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, বিসিসিআই-এর চুক্তিভূক্ত ২৫ ক্রিকেটারের মধ্যে ১২ জনের কোনো ডোপিং টেস্ট করাই হয়নি। এ তালিকায় রয়েছেন বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও। এ ছাড়া নাডার ডোপিং টেস্টের ঊর্ধ্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামি, মোহাম্মদ সিরাজ, উমেশ যাদব, শার্দুল ঠাকুর আর্শদ্বীপ সিং, শ্রেয়াস আইয়াররাও।
তবে ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দলের সিংহভাগ খেলোয়াড়দের ডোপ টেস্ট না করা হলেও প্রমীলা দলের চুক্তিভূক্ত সবাইকে ন্যূনতম একবার ডোপিং টেস্ট করানো হয়েছে। এর মধ্যে হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মান্ধানাকে সবচেয়ে বেশিবার পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা দু’জনে তিন বার করে ডোপিং পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন।