ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান

কলম্বোর পি সারা ওভালে লড়াইটা জমেই উঠেছিল। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৩২৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে স্বস্তিতেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু আভিষ্কা ফার্নান্দো আর শেহান আরাচ্চিগে মাঝে পাকিস্তানি বোলারদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত জয়টা পেয়েছে পাকিস্তানই। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৬০ রানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তাঁরা।

পি সারা ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ হারিস। অবশ্য পাকিস্তানি ব্যাটারদের ঝড়ের পূর্বাভাস তখনও পাওয়া যায়নি। উল্টো শুরুটা ভালই করেছিলেন লঙ্কান দুই বোলার লাহিরু সামারকুন আর চামিকা করুনারত্নে।

তবে লঙ্কান বোলারদের গল্পটা ছিল শুধু প্রথম ১০ ওভারেই। এরপর ইনিংসের বাকি সময়গুলোতে আধিপত্য দেখিয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর সেঞ্চুরির পথে হেঁটেছিলেন তিনে খেলতে নামা উমাইর ইউসুফ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউট হন ৮৮ রানে। ৭৯ বলের এই ঝড়ো ইনিংসে এ ব্যাটার খেলেছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কার মার। ৪২ বলে ৫২ করে অধিনায়ক হারিস। এছাড়া ৪৫ বলে ৪২ রান আসে মুবাশির খানের ব্যাট থেকে। আর এতেই ৫০ ওভারে ৩২২ রানের বড় সংগ্রহ পাকিস্তান।

৩২৩ রানে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে সে চাপ কাটিয়ে জয়ের দিকে চোখ রেখেছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো আর শেহান আরাচ্চিগে। তাদের ১২৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা।

কিন্তু দুজনেই ফিরে যান সেঞ্চুরির দোরগড়ায় এসে। দুজনেই আউট হন ৯৭ রানে। ১২ চার আর ২ ছক্কায় ৮৫ বলে এ এ ইনিংস সাজান ফার্নান্দো। আর ১০৯ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন আরাচ্চিগে। যেখানে ছিল ১২ টা চার আর ১ টা ছক্কার মার। মূলত আরাচ্চিগে আউট হওয়ার পরই ম্যাচ হেলে পড়ে পাকিস্তানের দিকে। ২৬ বল বাকি থাকতে ৪৫.৪ ওভারেই ২৬২ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। পাকিস্তানের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন আরশাদ ইকবাল।

এ জয়ের ফলে আগামী ২৩ জুলাইয়ের ফাইনালে সবার আগে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে ভারত অথবা বাংলাদেশ।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link