এইতো কিছুদিন আগেও টালমাটাল অবস্থা ছিল গোটা নারী দলের। সেই দলটাই ঘরের মাঠে শক্তিশালী ভারতকে রুখে দিয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেট। এরপরও অবশ্য ঘটে গেছে নানা অপ্রয়োজনীয় কাণ্ড। তবে তার কোন দায়ভার বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের নয়।
বরং তারা তো কেবলই প্রশংসার দাবিদার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে অবধি দলের ভেতরকার পরিবেশ ছিল বেশ অস্বস্তিকর। এর পেছনের কারণ হিসেবে সবসময় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে নারী দলের নির্বাচককে। জাতীয় দলের সাবেক বাঁ-হাতি পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম, ছিলেন সদ্য সাবেক নির্বাচক। তিনি একাই নারী জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচন করতেন।
একক ক্ষমতার অপব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি। একচ্ছত্র আধিপত্য বলতে যা বোঝায় আর কি। কৌশলে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যেতে থাকেন। অন্ধকারে রাখেন নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেলকে। একটা অদৃশ্য পর্দার আড়ালে চালিয়ে গেছেন নিজের মিশন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সিনিয়র নারী ক্রিকেটারদের কৌশলে দল থেকে বাদ দেওয়ার নিঃশব্দ এক প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছেন। তাতে করে বেশ বাজে ভাবেই প্রভাবিত হয়েছিল নারীদের ড্রেসিং রুম। দলের প্রধান নির্বাচক হওয়া ছাড়াও দলের ম্যানেজারের দায়িত্বও একাধারে পালন করতেন তিনি।
তাতে করে খেলোয়াড়দের বেশ কাছাকাছিই থাকার সুযোগ পেয়েছেন। তাতে তিনি ড্রেসিং রুমে নিজের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করে গেছেন পুরোটা সময় জুড়ে। ক্ষমতার অপব্যবহার বলতে যা বোঝায় আরকি।
বেশ কিছু অভিযোগ সঙ্গী করে অব্যাহতি পান মঞ্জুরুল ইসলাম। আর ঠিক তার পরেই নারী দলে পেয়েছে মনে রাখার মতই সফলতা।মঞ্জুর বিদায়ে দলের পরিবেশে এসেছে ইতিবাচকতা। সংশ্লিষ্টদের মত তেমনই।
ইঙ্গিতটা তিনি মঞ্জুরুলের দিকেই করেছেন। মূলত মঞ্জুরুল তার পছন্দের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সুযোগ দিতে নারাজ ছিলেন। তার করা এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে দলের ভেতরে পারস্পারিক সম্মানবোধের জায়গাটা নষ্ট হয়।
একটা দল হয়ে খেলার ক্ষেত্রে প্রধান শর্তই থাকে একে অন্যকে যথাযথ সম্মান করা। তাছাড়া দলের প্রতিটা খেলোয়াড়দের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় থাকা। সেই জায়গাটা মঞ্জুরুল ইসলাম একটা সময় নষ্ট করে ফেলেছিলেন বলেই রয়েছে অভিযোগ।
সেই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। আর ঠিক সে কারণেই আসতে শুরু করেছে ফলাফল, তেমনটাই মত নারী ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্টদের।