ট্রফিই যেন তৃষ্ণা বাড়ায় বিশ্বজয়ের

মুশফিকুর রহিমের হাতে ট্রফি। স্বপ্নের বিশ্বকাপ শিরোপা। দৃপ্ত পায়ে মুশফিক বহন করে হোম অব ক্রিকেটের বুকে রাখলেন সেই শিরোপা। স্বপ্নে বিভোর গোটা দল খুব কাছে থেকে দেখলো। নিজেদের ভেতরের থাকা জেদ আরও খানিকটা ঘনিভূত হলো।

তিন দিনের সফরে গতকাল ভোররাতে বিশ্বকাপের ট্রফি এসে পৌছেছে ঢাকায়। প্রথমদিন, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পদ্মার পাড়ে চ্যাম্পিয়নদের মেমেন্টো। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে পদ্মা সেতু। সেই সেতুর পাদদেশেই হলো অফিসিয়াল ফোটো শ্যুট।

এরপরদিন সকাল সকাল মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে হাজির মহাশয়। চ্যাম্পিয়নদের হাতে যাকে সবচেয়ে বেশি মানায়। এবার খেলোয়াড়দের ছবি তোলার পালা। বিশ্বকাপের জন্যে প্রাথমিক দলে থাকা সবাই এক এক করে ছবি তুললেন। বাহারী সব ভঙ্গিমায় একটু ছুয়ে দেখার বাহানা খোঁজার চেষ্টা। খুব কাছে থাকলেও কেমন একটা পর পর ভাবনা।

তবুও এত কাছ থেকে বিশ্বজয়ের স্বীকৃতি দেখার সৌভাগ্য তো সচারচর হয় না। বাংলাদেশ দল সেই সুযোগের পূর্ণ ফায়দাই তুলে নেয়। ট্রফির পাশে বেশ ইতস্তত তাসকিন। তবে তিনি অবশ্য দৃঢ় প্রত্যয়ী। তিনিও দেখছেন বিশ্বজয়ের সম্ভাবনা। তিনি বলেন, ‘টিম ওয়ার্ক, মাঠে সর্বোচ্চ নিবেদন এবার ভিন্ন কিছুই হতে পারে।’

শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড় নয়। ট্রফিকে খুব কাছ থেকে দেখার সু্যোগ মিলেছে যুবা টাইগারদের। যারাও স্বপ্ন বুনছে আগামী বছরের অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ের। তারাও এলেন দেখলেন ট্রফি। বড়দের শিরোপা তাদেরও খানিকটা উজ্জীবিতই করলো।

সাথে আতহার আলী খানও যুক্ত হয়েছিলেন যুবাদের সাথে। এর আগে মিরপুর একাডেমিতে থাকা অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সদস্যরা একযোগে ছবি তুলেছেন ট্রফির সাথে। তাদের বড় হওয়ার ইচ্ছেটা যেন আরও তীব্র হল।

এরপর গোটা নারী দল এক সঙ্গে হাজির। মিডিয়া সেন্টারের সামনে তখন ট্রফি। পিংকি, জ্যোতিরাও বিশ্বকাপের সাথে ফ্রেমবন্দী হলেন। নিজেদের স্মৃতিতে নতুন এক স্বর্ণালী পাতার সংযুক্তি।

ছবি তোলার সুযোগ অবশ্য সাংবাদিকরাও পেলেন। এদিন শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের ভীর ছিল চোখে পড়ার মত। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেন। একটু কাছ থেকে শিরোপাটা দেখে নিলেন। ক্যামারের শাটার তাদের জন্যেও মুহূর্ত বন্দী করে নিলো।

একটা ট্রফি। একটা গোটা দেশের স্বপ্ন। অন্তত একটিবার জিতে দেখার স্বাদ। এবারই তো সম্ভবত সবচেয়ে ভাল সুযোগ। পাশের দেশেই বসছে বিশ্বজয়ের আসর। ১৯ নভেম্বর যদি গর্জে ওঠে এই বাংলা, তবে নিশ্চয়ই সেই গর্জন পৌঁছে যাবে আহমেদাবাদ অবধি। এখন শুধু সে দিনটারই অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link