মুক্তিতেই স্বস্তি খোঁজেন তাঁরা

এমনকি অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও অনাপত্তিপত্রের প্রয়োজন হয়। অবশ্য বিসিসিআই যদি অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার পূর্ণ অনুমতি দেয় তাহলে সেই ঘোষণা প্রকাশের সাথে সাথেই অবসর নিতে পারেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।

ফ্রাঞ্চাইজি জগতে সবচেয়ে সেরা টুর্নামেন্ট নি:সন্দেহে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, সব দেশের তারকারাই অংশ নেন এখানে। তবে ভারতীয় ক্রিকেটারই অন্য লিগে খেলেন না; মূলত বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ক্রিকেটারদের ভিনদেশি টুর্নামেন্টে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এমনকি অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও অনাপত্তিপত্রের প্রয়োজন হয়। অবশ্য বিসিসিআই যদি অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার পূর্ণ অনুমতি দেয় তাহলে সেই ঘোষণা প্রকাশের সাথে সাথেই অবসর নিতে পারেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।

  • শিখর ধাওয়ান 

বিসিসিআই অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের বিদেশী লিগে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথেই অবসর নেয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি শিখর ধাওয়ানের। গত বছর পর্যন্ত ভারত দলের সদস্য ছিলেন এই ব্যাটার। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে শুভমান গিল তাঁর জায়গা দখল করে নিয়েছে।

আপাতত নির্বাচকরা কোনো সিরিজে ধাওয়ানকে খেলাতেও নারাজ। ২০২২ সালে সর্বশেষ ওডিআই ম্যাচ খেলা এই বামহাতি দ্রুতই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন।

  • দীনেশ কার্তিক

২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন দীনেশ কার্তিক৷ বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এরপর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে তিনি। বিদেশি লিগগুলোর জন্য জন্য একজন কার্যকরী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হতে পারেন।

তাই তো বিসিসিআই অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের বিদেশী লিগে অংশগ্রহণের অনুমতি দিলে দীনেশ কার্তিক হয়তো অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন। আর বয়সও তাঁর কম হল না।

  • ভূবনেশ্বর কুমার

দীনেশ কার্তিকের মতই গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ছিলেন ভূবনেশ্বর কুমার। তবে সেমিফাইনালে ভারত বাদ পড়ার পর থেকে সাদা বলের ফরম্যাট থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন তিনি।

চলতি বছর কোন ম্যাচই খেলেননি এই পেসার, এমনকি নির্বাচকদের ভাবনাতেও নেই তিনি। টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর পেস বোলিংয়ের চাহিদা ব্যাপক, তাই অনুমতি পেলে হয়তো বিদায় বলতে পারেন ভারতীয় জার্সিকে।

  • উমেশ যাদব

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছেন উমেশ যাদব, অথচ তিনিই কয়েক মাসের ব্যবধানে দল থেকে অনেক দূরে। টিম ম্যানেজম্যান্টও পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁকে নিয়ে আপাতত ভাবছে না তাঁরা।

তাই, তো ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ক্রিকেটের নতুন স্বাদ নিতে চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগে বিসিসিআইয়ের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে।

  • পিয়ূষ চাওলা

২০১২ সালের পর প্রায় এক যুগ কেটে গিয়েছে, তবে পিয়ূষ চাওলা ভারতীয় জার্সিতে খেলতে পারেননি কোন ম্যাচ। যদিও আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন এই স্পিনার।

এমন পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে আবার হয়তো ফিরতে পারবেন না, তবে ভিনদেশি লিগে খেলতে পারাটা তাঁর প্রাপ্য বটে। সেজন্য অবসর নিতে হলে তাই হয়তো করবেন চাওলা।

  • মায়াঙ্ক আগারওয়াল

তুলনামূলক তরুণ হলেও তারকা ঠাসা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই তিনিও বেছে নিতে পারেন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট, বিসিসিআইয়ের গ্রিন সিগনাল মিললেই সম্ভবত অবসরের সিদ্ধান্ত নিবেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

এছাড়া ইশান্ত শর্মা, মোহিত শর্মা, জায়ান্ট যাদব, ঋদ্ধিমান সাহা এরা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্রাত্য। এজন্যই সুযোগ পেলে জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিনোদন ফেরি করে বেড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন তাঁরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...