অখ্যাত জনসনের বিখ্যাত কীর্তি

১০০ বলের খেলা, একজন বোলার সর্বোচ্চ ২০ বল করতে পারবেন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্য হান্ড্রেডের নিয়মটা এমনি। মাত্র একশ বলের খেলা হওয়ায় ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক।

বোলাররা তাই নির্ধারিত বিশ বলে ৩০ এর বেশি রান খরচ করতেই পারেন। খুব ভাল বোলিং করলে সেটা ২০ বলে ২০ বা ১৫ রানে নামতে পারে। কিন্তু, এর মধ্যেই যা ঘটল তা রীতিমত অবিশ্বাস্য।

সেই অবিশ্বাস্য কীর্তির নায়ক স্পেনসার জনসন। তিনি যা করেছেন সেটা অভাবনীয়, কল্পনাতীত। বিশ বলে তিনি খরচ করেছেন মাত্র এক রান।

না, ভুল পড়েননি ওভাল ইনভিন্সিবলের এই বামহাতি পেসার সত্যিই এক রান খরচ করেছেন ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের বিপক্ষে। ডট বল দিয়েছেন ১৯টা, আর উইকেট পেয়েছেন তিনটা।

স্পেনসার জনসন যেনতেন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বোলিং করেছেন তেমনটা ভাবার সুযোগ অবশ্য নেই। জস বাটলার, ফিলিপ সল্টের মত আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটাররা ছিলেন ক্রিজে।

তাদের বারবার পরাস্ত করে ডট বল আদায় করতে হয়েছে জনসনকে। আরো অবাক হবেন যদি শোনেন, দ্য হান্ড্রেডে এটিই জনসনের প্রথম ম্যাচ। অভিষেকেই প্রতিপক্ষকে এমন নাজেহাল বোধহয় আর কোন ক্রিকেটার করতে পারেননি।

ওভালের হয়ে বোলিং ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন স্পেনসার জনসন। জস বাটলারের মত বিশ্বমানের তারকা তখন স্ট্রাইকিং প্রান্তে; কিন্তু নিজের প্রথম পাঁচ বলেই বাটলারকে আটকে রেখেছেন এই বামহাতি।

সুইং আর গতিতে একাধিকবার পরাস্তও করেছেন ইংলিশ উইকেটকিপারকে। পরের দফায় আরো পাঁচ বল করেছেন জস বাটলার আর ফিলিপ সল্টকে, সেসময় বাটলার একটা রান নিলেও সল্টকে কোন রান নিতে দেননি অভিষক্ত এই পেসার।

নিজের শেষ দশ বল একটানা করেছেন স্পেনসার জনসন। যদিও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কাছে কোন জবাব ছিল না এই পেসারের বিরুদ্ধে।

একে একে আউট হয়েছেন উসামা মীর, টম হার্টলি আর জসুয়া লিটল। শেষপর্যন্ত ২০-১৯-১-৩ এমন একটি অতিমানবীয় বোলিং ফিগার নিয়েই ম্যাচ শেষ করেছেন ২৭ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান।

আগামী দিনে নিশ্চিতভাবেই আরো অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন স্পেনসার জনসন। নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই হবে এই পেসারের লক্ষ্য; তাঁর দল ওভাল ইন্ভিন্সিবলও সেটাই প্রত্যাশা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link