কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন না রিয়াদ!

এশিয়া কাপের দলে জায়গা হয়নি। আসন্ন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা এখন শূন্যের কোঠায়। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে হয়তো নিজের শেষটা দেখেই ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে, এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার।

২০২২ সালে টেস্টকে বিদায় জানানো রিয়াদ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েন ঐ একই বছরেই। এরপর থেকেই শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন তিনি। যদিও চুক্তিতে থাকলেও শেষ ৫ মাসে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজই ছিল রিয়াদের খেলা শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিসিবির নতুন চুক্তিতে রিয়াদ কি আদৌ আর বিবেচিত হবেন? জাতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস অবশ্য তেমন কিছু খোলাসা করেননি।

এমনিতে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসার প্রক্রিয়ায় মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয় আগের বছরের পারফরম্যান্স। ২০২২ সালে ছন্দে থাকা ক্রিকেটাররাই ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছেন। তবে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার যদি অফফর্মে চলে যান, ৬ মাস পর পুনর্বিবেচনা করে সংযোজন, বিয়োজন করার এখতিয়ার বিসিবির আছে। কিন্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও বিসিবি থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের যুক্তিও রয়েছে। জালাল ইউনুস বলেন, ‘চুক্তিভূক্ত হতে হলে যে জাতীয় দলেই থাকতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’

এখানেই পরিস্কার যে, রিয়াদ আপাতত চলতি চুক্তিতে থাকছেন অবধারিতভাবেই। তবে পরবর্তী মেয়াদের চুক্তিতে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে প্রবল। একই ভাবে নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা পরবর্তী চুক্তি থেকে বাদ পড়ার দোরগড়ায় রয়েছেন।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন এ দুই ক্রিকেটার। সেই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও যুক্ত হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু চলতি বছরে একটি ম্যাচেও সুযোগ মেলেনি সোহান, সৈকতদের। সৈকত তবুও এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্ত সোহান কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা স্বত্ত্বেও তাঁর জায়গা মেলেনি।

চলতি বছরে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২১ ক্রিকেটারের মধ্যে সবচেয়ে দুর্ভাগা সম্ভবত খালেদ আহমেদ। একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন পুরো বছরে। চলতি বছরে খালেদের মতো, একটি ম্যাচ খেলেছেন জাকির হাসানও। তবে তাঁরা ম্যাচ কম খেললেও টেস্ট ফরম্যাট বিবেচনায় ঠিকই পরবর্তী চুক্তিতেও থাকতে পারেন।

তবে রিয়াদ, সোহান, সৈকতদের জন্য সে সুযোগটা একেবারে শূন্যের কোঠাতেই, বলা যেতে পারে। অতি নাটকীয় প্রত্যাবর্তন না হলে, সামনের মেয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন না রিয়াদ। আর সৈকত, সোহানকে এখন যেহেতু চূড়ান্ত স্কোয়াডেই বিবেচনা করা হচ্ছে না, তাই তাঁরাও অনেকটা নিশ্চিতভাবেই পড়ে যাচ্ছেন বাদ পড়াদের তালিকায়।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link