২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ; এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তাঁরা। অথচ ভঙ্গুর এই দলের কাছেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বসেছে ভারত, স্বাভাবিকভাবেই চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তবে অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন এমন পরাজয়েও অনেক ইতিবাচক দিক দেখেন। এছাড়া সমালোচনাকারীদের বিপক্ষে যুক্তিও দেখান এই তারকা স্পিনার। তিনি মনে করেন এই সিরিজটি তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য শেখার মঞ্চ ছিল এবং এখান থেকে শিখে তাঁরা আরো ভাল করবে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে দলের সমালোচনা করা খুব সহজ, কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি এমন একটা দলের কাছে ভারত হেরেছে। তারা আসন্ন ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও খেলতে পারবে না। তবে আমি আপনাদের একটা তথ্য দিতে চাই।’
‘আমি বিশেষ কাউকে নিয়ে কথা বলছি না, সমর্থনও করছি না। কিন্তু সত্যি বলতে, একজন তরুণ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেলে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবেই। সব দেশেই কিছু না কিছু গোপন ট্রিকস থাকে যেগুলো সফরকারীদের চেয়ে স্বাগতিক খেলোয়াড়রা বেশি জানে।’ যোগ করেন তিনি।
ভারতের এই ডানহাতি স্পিনার আরো বলেন, ‘আমি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, তখন আমাকে ছোট ছোট অনেক জিনিস শিখতে হয়েছিল। ক্রিকেটার হিসেবে সেগুলো আমার জন্য ছিল বিচিত্র অভিজ্ঞতা। একইভাবে এই সফর থেকেও তরুণরা অনেক কিছু শিখবে। আর সেটা কাজে লাগিয়ে তাঁরা ভবিষ্যতে অবশ্যই ভালো করবে।’
সিরিজ হারলেও ভারত যে একেবারে খারাপ করেছে ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জাসপ্রিত বুমরাহদের মত সময়ের সেরা তারকাদের ছাড়াই মাঠে নেমেছিল দলটি।
ভরসা রেখেছিল তিলক ভার্মা, যশস্বী জসওয়ালের মত উদীয়মানদের উপর। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এরা সবাই। এছাড়া নবাগত পেসার মুকেশ কুমারও পারফর্ম করেছেন।
এসব ভেবেই হয়তো অশ্বিন বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২-৩ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যাওয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। এটা ঠিক আছে, যৌক্তিকও। কিন্তু আমরা ফলাফল ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখতে পারি। এই সিরিজে তরুণ খেলোয়াড়রা অনেক অভিজ্ঞতা পেয়েছে।’