হাম্বানটোটায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২০১ রানে গুটিয়ে গেলেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার ইমাম উল হক। খেলেছিলেন ৯৪ বলে ৬১ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। আর এই ইনিংসের মাধ্যমেই ওয়াডে ক্রিকেটে ব্যাটারদের র্যাংকিংয়ে তিনে উঠে এসেছেন এ ব্যাটার।
৭৫২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে দুইয়ে থাকা রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছেন ইমাম উল হক। ইমামের চেয়ে ২৫ রেটিং পয়েন্ট বেশি ন প্রোটিয়া এ ব্যাটারের এখন রেটিং পয়েন্ট ৭৭৫।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শূন্য রানে ফিরলেও র্যাংকিংয়ে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছেন বাবর আজম। ৮৮০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে সর্বশেষ ম্যাচে শূন্য রানে ফেরায় হারিয়েছেন ৬ টি রেটিং পয়েন্ট।
ইমাম উল হকের উন্নতি হলেও র্যাংকিংয়ে অবনমন ঘটেছে আরেক ওপেনার ফখর জামানের। আফগানদের বিপক্ষে নামের পাশে মোটে ১ রান যোগ করতে পেরেছিলেন এ ব্যাটার। আর এই ইনিংসের পরই, তিন নম্বর থেকে পাঁচে নেমে এসেছেন ফখর জামান।
ফখরের অবনমনে এক ধাপ এগিয়েছেন শুভমান গিল। ৭৪৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ভারতীয় এ ব্যাটার এক ধাপ এগিয়ে এসেছেন চারে।
তবে র্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছেন পেসার হারিস রউফ। বোলারদের র্যাংকিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে এ পেসার উঠে এসেছেন ৩৬-এ।
মূলত তাঁর বোলিংয়েই আফগানদের বিপক্ষে কম পুঁজি নিয়েও ১৪২ রানের জয় পায় পাকিস্তান। রউফের ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফার পাওয়ার দিনে আফগানরা গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে। যা আবার তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
এ দিকে বোলারদের র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে তিনে উঠে এসেছেন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। মুজিবের উঠে আসায় অবশ্য এক ধাপ পিছিয়েছেন আরেক স্পিনার রশিদ খান।
৬৭৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছে ৪ নম্বরে। আর পাকিস্তানিদের মধ্যে সেরা রয়েছেন শুধু শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৬৩৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তাঁর অবস্থান ৯ নম্বরে।
অবশ্য ব্যাটার, বোলার র্যাংকিংয়ে রদবদল ঘটলেও একটুও পরিবর্তন ঘটেনি অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে। ৩৭১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। আর এ তালিকায় ৯-এ আরেক আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ২২৮।