ব্যাটিং জানে না ভারতীয় বোলাররা!

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ; নিজেদের দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে সব পরিকল্পনা করে রেখেছে ভারত। আর সেসব পরিকল্পনা যাচাই করে নেয়ার আদর্শ মঞ্চ ছিল এবারের এশিয়া কাপ। তাই তো বিশ্বকাপ ভাবনায় থাকা খেলোয়াড়দেরই রাখা হয়েছে এশিয়া কাপের দলে; পূর্ণশক্তির দল নিয়েই শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলবে ভারত।

তবে ভারতের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে লোয়ার অর্ডার; দলটির বোলারদের কেউই ব্যাট হাতে পরীক্ষিত নন। ফলে ছয় সাত উইকেট পড়লেই থমকে যায় রানের চাকা। বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই ঘাটতি ভারতকে পিছিয়ে দিতে পারে।

বোলিং বিভাগে ভারতের অটো চয়েজ বলা যায় জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদবকে। তৃতীয় পেসার হিসেবে রাখা হবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বা মোহাম্মদ শামিকে। কিন্তু এই চারজনের কেউই দলীয় স্কোরবোর্ডে দশ বিশ রান যোগ করতে পারবেন সেই ভরসা করা যায় না। এমনকি অপর প্রান্তে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান থাকলে তিনিও আস্থা রাখতে পারবেন না এদের উপর।

সেই সমস্যা কাটাতে চারজন স্পেশালিস্ট বোলার না খেলিয়ে হয়তো আট নম্বরে শার্দূল ঠাকুর বা অ্যাক্সার প্যাটেলকে রাখতে পারে টিম ইন্ডিয়া। এতে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা কমবে; সেট ব্যাটসম্যানকে সঙ্গ দেয়া কিংবা শেষদিকে ক্যামিও খেলার ক্ষেত্রে দুজনে পারদর্শী।

কিন্তু সেক্ষেত্রে বোলিং আক্রমন দুর্বল হয়ে যাবে ভারতের। স্রেফ তিনজন স্পেশালিস্ট বোলার নিয়ে বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলা নিশ্চিতভাবেই ভোগাবে রোহিত শর্মাদের।

শার্দূল ঠাকুরকে নেয়া হলে বাদ দিতে হবে শামি বা কৃষ্ণাকে। কিন্তু এরা দুজনে মিডল ওভারে উইকেট এনে দেয়ার পাশাপাশি ডেথ ওভারেও বোলিং করতে পারেন। অন্যদিকে, শার্দূল কেবলই পার্টটাইমার, তাই ক্রাঞ্চ মুহর্তে তাঁকে অধিনায়ক ব্যবহার করবে কি না সেটা ভাবনার বিষয়। আবার পার্ট টাইম পেসার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াও আছেন, তাই একই ভূমিকায় দুইজনকে একাদশে নেয়াটা বোকামি।

যদি একাদশে অক্ষর প্যাটেলকে নেয়া হয় আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে, তাহলেও একই সমস্যায় পড়বে ভারত। কেননা কুলদীপ যাদবের মত স্পিনারকে সাইড বেঞ্চে রাখলে দলটির স্পিন বিভাগ একমুখী হয়ে যাবে। এছাড়া বাম-হাতি অফ স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা থাকায় অক্ষর সুযোগ পাওয়ার কথাও নয়।

সব মিলিয়ে সাত ব্যাটসম্যান আর চার স্পেশালিষ্ট বোলার নিয়ে দল সাজাবে ভারত সেই সম্ভাবনাই বেশি। বিশেষ করে সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমন পরিকল্পনাতেই মাঠে নামবে তাঁরা; তবে রক্ষণাত্মক থাকতে চাইলে দুইজন ফাস্ট বোলারের সঙ্গে খেলানো হতে পারে শার্দূল ঠাকুরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link