ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচ; বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন বাবর আজম। সাত উইকেট আর ৬৩ বল হাতে রেখেই টাইগারদের হারালো পাকিস্তান। দারুণ এই জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ।
অধিনায়ক বাবর এদিন অবশ্য খুব বেশি রান করতে পারেননি, মাত্র ১৭ রানেই আউট হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু এতেই রেকর্ড বুকে উঠে গিয়েছে বাবর আজমের নাম, সেটাও আবার প্রতিদ্বন্দী বিরাট কোহলিকে টপকে।
অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাবর আজম, সেজন্য লেগেছে মাত্র ৩১ ইনিংস। এর আগে এই ক্লাবের দ্রুততম সদস্য ছিলেন বিরাট কোহলি, ভারতের সাবেক অধিনায়ক ৩৬ ইনিংস খেলে করেছিলেন ২০০০ রান। এছাড়া এই কীর্তি গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকার এবিডি ভিলিয়ার্সের লেগেছে ৪১ ম্যাচ এবং মাইকেল ক্লার্কের ৪৭ ইনিংস।
এবারের এশিয়া কাপ পুরোটাই দারুণ কাটছে বাবর আজমের। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে রেকর্ড বুকে ঝড় তুলেছিলেন এই তারকা। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে আর কোন অধিনায়ক পারেননি দেড়শ রান করতে, আগের সর্বোচ্চ ক্যাপ্টেন্স নক ছিল বিরাট কোহলির ১৩৬ রান।
এছাড়া সেই ম্যাচে ক্যারিয়ারের উনিশতম শতকের দেখা পেয়েছিলেন বাবর আজম। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে কোন ব্যাটসম্যানই পাক অধিনায়কের মত এত দ্রুত উনিশটি শতকের মালিক হতে পারেনি। মাত্র ১০২টি ইনিংস খেলেই রেকর্ডে নাম লিখেছেন বাবর; যেখানে পূর্বের রেকর্ডধারী হাশিম আমলার প্রয়োজন হয়েছিল ১০৪ ইনিংস।
২০২৩ সালে যেন উড়ছেন বাবর আজম; হয়ে উঠেছেন রান মেশিন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাঁর ব্যাটে ছড়েই বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। সেই সাথে নিজের রেকর্ডের ঝুলিও সমৃদ্ধ করে চলছেন এই ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। এভাবে ছুটতে থাকলে শীগ্রই তাঁর হাতে হয়তো বড় কোন শিরোপা দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব।