ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই, ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম রোমাঞ্চকর লড়াই এটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বাড়াবাড়ি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া কাপে সরাসরি পাকিস্তান এবং ভারত নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
এসিসি সর্বাত্মক চেষ্টা করে যতবেশি সম্ভব ইন্দো-পাক দ্বৈরথ আয়োজন করার। আর সেই লক্ষ্যে যা যা করা সম্ভব সবই করছে তাঁরা। তবে মজার ব্যাপার, এত চেষ্টার পরেও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে কখনোই মুখোমুখি হয়নি এই দুই প্রতিবেশী।
এবারও সেই সম্ভাবনা কম; হেরে গেলে তো বটেই, বৃষ্টিতে শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান ম্যাচ ভেসে গেলেও বাদ পড়তে হবে বাবর আজমদের। ইতোমধ্যে অবশ্য বৃষ্টি হানা দিয়েছে অলিখিত সেমিফাইনালে; ফলে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ নামিয়ে আনতে হয়েছে ৪৫ ওভারে। আবারো যদি কলম্বোর আকাশে বর্ষা নেমে আসে তবে ক্ষতিটা হবে পাকিস্তানেরই।
আবার লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষেও স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যাচ্ছে না পাক ব্যাটারদের। পঁচিশ ওভারের মাঝেই চারজনকে হারিয়েছে দলটি; রান তোলার হারও বেশ ধীর, ওভারপ্রতি সাড়ে চারের কাছাকাছি। পরের দিকেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না ফখর, হারিসরা।
সুপার ফোরে সবমিলিয়ে ছয়টি ম্যাচ হলেও রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে শুধু ভারত, পাকিস্তানের জন্য। ছয় দলের টুর্নামেন্টেও দুই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে যাতে এই দুই দল একাধিক বার মুখোমুখি হয়; এছাড়া ভেন্যুসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও এসিসির পক্ষপাতমূলক আচরণ ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে।
তাই বলাই যায়, শ্রীলঙ্কা বাধা পেরুতে না পারলে পাকিস্তানি সমর্থকদের চেয়েও হয়তো বেশি কষ্ট পাবে এশিয়ান ক্রিকেটের নীতি নির্ধারকরা। পাকিস্তান, ভারত ম্যাচ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি দেখে বিরক্ত মানুষেরাও হয়তো তেমন কিছু দেখার আশা করছে।