প্রতি বছরের শুরুর দিকে ক্রিকেটারদের সাথে সাধারণত এক বছরের চুক্তি করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা বিসিবির মাসিক বেতন সহ যাবতীয় সুবিধা ভোগ করে। ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে চুক্তির তালিকা প্রকাশ করে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে চলতি বছরের তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি তাঁরা।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘ দিন হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিন খেলার বাইরে থাকাতে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স বিবেচনা করার সুযোগ পায়নি বোর্ড। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে চুক্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব না তাই এই দুটি সিরিজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আগের ১৭ জনই থাকবেন তালিকাতে। দুটি সিরিজ শেষে বোর্ডের সাথে আলোচনা করে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান।
১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক আকরাম বলেন, ‘প্রতিবছর কিন্তু আমরা পারফরম্যান্স দেখে চুক্তির তালিকা তৈরি করি। কিন্তু এবছর যেহেতু আমরা ওই ধরণের পারফরম্যান্স দেখতে পারছি না বিধায় যারা চুক্তিতে আছেন তাদের রেখে দুইটা সিরিজ দেখে তারপরে হয়ত আমরা সিদ্ধান্ত নিব। বোর্ডের সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব।’
আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ড ও কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে স্থগিত হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। চলতি বছর বাংলাদেশের সামনে ব্যস্ত সূচি অপেক্ষা করছে। এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন, এবছরটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্লেয়াররা খুবই ব্যস্ত থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হতেই আমাদের নিউজিল্যান্ড যেতে হবে, এরপর শ্রীলঙ্কা।
করোনার কারণে গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। এরপর স্থগিত হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের সব সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষে স্থগিত হয়ে যাওয়া বাকি সিরিজ গুলো আয়োজন করতে চায় বিসিবি।
আকরাম বলেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু সেজন্য আমাদের সময় থাকতে হবে তো। সময় তো নেই। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যে খেলাগুলো আমরা খেলতে পারিনি সেগুলো পুনরায় খেলার চেষ্টা করব। সময়টা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমাদের জন্য এবং যাদের সঙ্গে খেলব তাদের জন্যও।’