বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও শুরু হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামের অধ্যায়। বছর খানেকের বিরতির পর পুনরায় টাইগার শিবিরে যোগ দিতে যাচ্ছেন শ্রীরাম; ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ উপলক্ষে তাঁকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের খুব বেশি বাকি নেই আর; দিন কয়েক পরেই পর্দা উঠবে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরের। আর সেই লক্ষ্যে সব দেশই গুছিয়ে নিচ্ছে নিজেদের স্কোয়াড আর টিম ম্যানেজমেন্ট ।
সেটারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনছে পুরনো মুখ শ্রীধরন শ্রীরামকে। লাল-সবুজের ক্রিকেটারদের প্রায় সবাইকে চেনা আছে শ্রীরামের, আবার ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় সেখানকার কন্ডিশনও ভাল জানা আছে তাঁর।
তাই তো শ্রীধরন শ্রীরাম ড্রেসিংরুমে থাকলে পরিকল্পনা করা সহজ হবে দলের জন্য; গেমপ্ল্যান সাজানো কিংবা প্রতিপক্ষের গেমপ্ল্যানে ফাঁকফোকর খুঁজতেও সাহায্য করবেন তিনি। এছাড়া টাইগার ক্রিকেটারদের টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান হতে পারেন শ্রীরাম – এসব ভাবনা মাথায় রেখেই তাঁকে বাংলাদেশের ক্যাম্পে যুক্ত করেছে বিসিবি।
অবশ্য লম্বা কোন মেয়াদে নয়, শুধুমাত্র বিশ্বকাপে শ্রীধরন শ্রীরাম টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। বিশ্ব মঞ্চে তাই দেখা যাবে হাতুরু-শ্রীরাম জুটি; দুজনের মানসিকতাই প্রায় এক। পজিটিভ ক্রিকেট খেলতে চান তাঁরা, জয়-ই তাঁদের প্রথম ও একমাত্র লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইন্টেন্ট আর ইম্প্যাক্ট শব্দের সূচনা হয়েছিল শ্রীধরন শ্রীরামের হাত ধরেই। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের দায়িত্ব পেয়ে শিষ্যদের মাঝে ইম্প্যাক্টের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি বিদায় বললেও তাঁর দর্শন ধরে রেখেছে টি-টোয়েন্টি দল; সফলতাও মিলেছে তাতে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া দলের কোচিং প্যানেলে ছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও – কোচিং অভিজ্ঞতার তাই কমতি নেই তাঁর মাঝে। বাংলাদেশের সঙ্গে আগের মেয়াদেও সেই অভিজ্ঞতার ছাপ রেখেছিলেন তিনি।
এখন দেখার বিষয়, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলকে কেমন সেবা দেন শ্রীধরন শ্রীরাম। বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের অবশ্য প্রত্যাশা থাকবে সবচেয়ে ভালোটাই; দলের কাছেও, শ্রীরামের কাছেও।