অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসান বরাবরই অন্য যেকোনো বাংলাদেশির চেয়ে আলাদা। তাইতো সাকিবের দলে নিয়মনীতি একটু বেশি; গতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছিল সেটা। বিশ্ব মঞ্চে টাইগাররা যখন খেলছিল, তখন তাঁদের মিডিয়াসহ বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি আলাদা করে রেখেছিলেন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার।
এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই একটু একটু করে নিজেদের লুকিয়ে নিচ্ছে টিম টাইগার্স। ইতোমধ্যে দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও এই নিয়মের বাইরের নন, তাঁকে এখন দেখা যায় না ক্যামেরার ফোকাসে।
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম অনুশীলন সেশনের টুকটাক ভিডিও বার্তা শুরুতে প্রকাশ করেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে এরপর থেকেই খেলোয়াড়দের সম্পর্কিত কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। কেন করা হয়নি সেটা নিয়ে অবশ্য আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণাও দেয়া হয়নি, তবে আন্দাজ করা যায় অধিনায়ক সাকিবের নির্দেশেই এমন অবস্থান বিসিবির।
মূলত সাম্প্রতিক বিতর্ক থেকে দূরে সরিয়ে খেলোয়াড়দের স্রেফ খেলায় মনোযোগী রাখতেই এমন উদ্যোগ সাকিব ও বোর্ডের। তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে না থাকা, পরবর্তীতে সাকিব, তামিম এবং মাশরাফির ভিডিও নিয়ে অনলাইন, অফলাইনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু সেটা যেন বিশ্বকাপ দলকে প্রভাবিত করতে না পারে কিংবা দলের কাউকে নিয়ে যেন নতুন কোন ইস্যু সৃষ্টি না হয় সেই চেষ্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আপাতত পুরো টাইগার স্কোয়াডের সব মনোযাগ বিশ্বকাপকে ঘিরে। স্বপ্নের এই টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে আছে দলের প্রত্যেকে। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। যদিও, ম্যাচটিকে ঘিরে আছে বৃষ্টির শঙ্কা।
আগের ম্যাচের মত এদিনও সম্ভবত খেলবেন না সাকিব আল হাসান, সেই সাথে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিমকে। যদিও দলে ফিরতে পারেন ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্ত। ঝুঁকিমুক্ত থাকতে একাদশের বাইরে থাকবেন মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ।