ধর্মশালার আউটফিল্ড: বাস্তবতা মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ যখন আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিতে ব্যস্ত, চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড তখন নিউজিল্যান্ডের কাছে হয়েছে পর্যদুস্ত। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বাড়তি মনোযোগী এখন ইংলিশরা, আত্মবিশ্বাসী টাইগার বাহিনীও দিতে চায় না কোন ছাড়। আগামী কালের বাঘ, সিংহের লড়াই নিয়ে তাই দুই পক্ষই প্রস্তুতি নিচ্ছে সমানে সমানে।

ম্যাচের আগে আইসিসির সংবাদ সম্মেলনেও তেমনটা বুঝিয়ে দিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ। শিষ্যদের নিয়ে ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, সেই সাথে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

সাকিব-মিরাজের স্পিন জুটি নিয়ে এই কোচ বলেন, ‘সত্যি বলতে তাঁদের ১০-এ ১০ দিব। আগেই যেমন বলেছি তাঁরা পিচের চরিত্র বুঝে নিজেদের লাইন ও লেংথ ঠিক করেছে। ফিল্ডিংও আক্রমণাত্মক ছিল। এ কারণে আমি তাদের বোলিংয়ে শতভাগ খুশি।’

এছাড়া অফ ফর্মে থাকলেও লিটন দাসকে নিয়ে আশাবাদী এই লঙ্কান। তিনি জানান, ‘লিটন দাশ, যে কেউ খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। একমাত্র বিষয় হচ্ছে, আপনি কিভাবে শক্তভাবে ফিরে আসেন। আমি সিওর, লিটন দারুণভাবে ফিরে আসবে।’

আগের ম্যাচে পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেশালিষ্ট ছয় বোলার খেলাবে কি না – এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল হেরাথকে। তবে উত্তরটা তিনি পিচের পরিস্থিতি আর ক্যাপ্টেনের দিকেই ঠেলে দিলেন। এই কিংবদন্তি স্পিনার বলেন, ‘এটা কালকের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যদি মনে হয় বাড়তি বোলারের প্রয়োজন আছে তাহলে অধিনায়ক, কোচ সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।’

ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়েও কথা বলতে হয়েছে তাঁকে। এই স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড নিয়ে কমেন্টেটর, ক্রিকেটারদের অভিযোগ থাকলেও হেরাথ অবশ্য স্বাভাবিক মনে করছেন; তিনি বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট এটা (আউটফিল্ডের অবস্থা) নিয়ে।

তাছাড়া এমন আউটফিল্ড আগে কখনো দেখেছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে এই বাঁ-হাতি জানান, ‘শুরু থেকে না দেখলেও বৃষ্টির পর মাঠ এমন হতে পারে। আবার আইসিসি যেহেতু এটিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মত উপযুক্ত মনে করছে আমি আসলে অভিযোগ করার সুযোগ দেখি না; আমার নিজেরও অভিযোগ নেই।’

তিনি আরো যোগ করেন যে ফিল্ডিংয়ে ক্রিকেটারদের কোন বাধ্যবাধকতা দেয়া হচ্ছে না; জানান, ‘না, আমরা তাঁদের কোন বাঁধা দিচ্ছি না। কোন ব্যাপারে মানা করা হলে ফিল্ডারদের ১০০% দেয়াটা কঠিন হয়ে যায়। আগের ম্যাচে তাঁরা ভাল করেছে, এটা ধরে রাখলেই হবে।’

এছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশী ব্র্যান্ড অব ক্রিকেটটাই খেলতে চান টাইগার স্পিন কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চাই। গত ম্যাচের মতই মানসিকতা, মনোভাব নিয়ে মাঠে নামবে ছেলেরা।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link