‘নিখুঁত পারফরম্যান্স’-এ নজর ভারতের

চেন্নাইয়ের চিপাকে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এখন ফুরফুরে মেজাজে স্বাগতিক ভারত। পরের ম্যাচে তাঁদের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক খর্বশক্তির আফগানিস্তান, আর এই লড়াইয়ে দলের কাছ থেকে ‘নিখুঁত পারফরম্যান্স’ দেখতে চান ভারতীয় টিম ম্যানেজম্যান্ট – অধিনায়ক রোহিত শর্মার লক্ষ্যও প্রায় একই।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্পিনবান্ধব পিচে খেললেও রোহিতরা আফগানদের মুখোমুখি হবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। দিন দুয়েক আগেই এই পিচে ৭০০ এর বেশি রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলঙ্কা। তবে শুভমান গিল না থাকায় এই ব্যাটিং স্বর্গেও টপ অর্ডার নিয়ে খানিকটা চিন্তায় আছে ভারত।

কেননা আগের ম্যাচে গিলের পরিবর্তে নামা ঈশান কিষাণ মোটেই ভাল করতে পারেননি। তাঁর শট সিলেকশন নিয়েও সন্তুষ্ট নয় ড্রেসিরুম; একই কথা প্রযোজ্য শ্রেয়াস আইয়ারের জন্যও। তাই তো দুই তরুণের জন্য আফগানিস্তান ম্যাচ হতে পারে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতীক্ষিত দ্বৈরথের আগেই উভয় ফর্ম ফিরলে নিশ্চিন্ত হতে পারবে দলের থিঙ্ক ট্যাংকরা।

অন্যদিকে, বিরাট কোহলির জন্য অপেক্ষা করছে নতুন এক মাহেন্দ্রক্ষণ, নিজের নামে অলংকৃত একটা স্ট্যান্ডের সামনে খেলতে নামবেন তিনি। এজন্য হলেও আগের ম্যাচের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে চাইবেন ‘চেজ মাস্টার’। অন্যদিকে, লোকেশ রাহুল তো স্বপ্নীল ফর্মে আছেন, তিনিও নিশ্চয়ই চাইবেন আরো একটা ভাল ইনিংস খেলতে।

বোলিংয়ে অবশ্য তেমন পরিবর্তন করবে না ভারত। কেবল পেস শক্তি বাড়াতে মোহাম্মদ শামিকে ফেরানো হতে পারে, সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন একাদশে নিজের জায়গা হারাবেন।

যদিও আফগানিস্তান ভারতকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে দিবে এমন আশা করা অমূলক। গত আসরেও ভারতের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল দলটি। এবার হয়তো জেতার দিকেই নজর রাখবে রশিদ, নবীরা। দিল্লিতে আফগান কলোনি থাকায় ভারতের বিপক্ষে ‘হোম ম্যাচ’ এর অনুভূতি পাবে তাঁরা।

স্পিনাররা বরাবরই তাঁদের শক্তির জায়গা, ফজলহক ফারুকীর আবির্ভাবের পর পেস বোলিং বিভাগও কিছুটা সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারছেন না সন্তোষজনক পারফর্ম করতে। এই যেমন বাংলাদেশের বিপক্ষেও ওপেনিংয়ে বড় জুটি হওয়া সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জিং পুজি পায়নি আফগানিস্তান – যার জন্য দায়ী দলটির ভঙ্গুর মিডল অর্ডার।

ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজদের বিরুদ্ধে রান করাটা যেকোনো মাঠেই কঠিন হবে আফগানিস্তানের ব্যাটারদের জন্য। কিন্তু ম্যাচ জিততে চাইলে সেই কঠিন কাজটাই করতে হবে যেকোনো মূল্যে, এখন দেখার বিষয় গুরবাজ, জাদরানরা কতটুকু পারেন নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link