আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে পাত্তাই পেলো না ‘ফেভারিট’ অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রত্যাশিত ফল পেল না প্যাট কামিন্সরা। প্রোটিয়াদের কাছে ১৩৪ রানের বিশাল পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি।
টসে হেরে এদিন আগে ব্যাট করতে দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং টেম্বা বাভুমার জুটিতেই দলীয় শতরান পেরিয়ে যায় তাঁরা। ততক্ষণে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক, এই দুই ব্যাটার যখন রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছিলেন তখনই অজিদের ব্রেক থ্রু এনে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তবে প্রতিপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করতে দেননি ডি কক আর ভ্যান ডার ডুসেন। দুজনের ম্যাচ পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে রান তুলেছিলেন, তবে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডুসেনকে ২৮ রানের মাথায় ফিরিয়ে উদযাপনের উপলক্ষ তৈরি করেন অ্যাডাম জাম্পাকে। যদিও প্রোটিয়া উইকেট কিপার ঠিকই তুলে নেন ‘ব্যাক টু ব্যাক’ হান্ড্রেড।
অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি, আউট হয়েছেন ১০৯ রান করে। সেই শুরু, এরপর আর কোন ব্যাটসম্যানকেই বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি স্টার্করা। এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই পারেননি ত্রিশের গন্ডি পেরুতে।
সেজন্যই ৩৫০ রান পেরিয়ে যাওয়ার অবস্থায় থাকলেই পঞ্চাশ ওভারে প্রোটিয়ারা জমা করেছিল ৩১১ রান। শেষ দশ ওভারে সাত ওভারে মাত্র ৪৮ রান করতে পেরেছে তাঁরা।
জবাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তো দূরে থাক, জয়ের সম্ভাবনাই সৃষ্টি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ ওভারে মিচেল মার্শ আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ২৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অজিদের পথ দেখানোর চেষ্টা করেন দুই অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ এবং মার্নাস লাবুশানে।
কিন্তু ক্রিজে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হম স্মিথ; প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায়। তারপরই ধ্বস নেমে আসে অজি ব্যাটিং লাইনআপে; একে একে সাজ ঘরে ফেরেন জস ইংলিশ, ম্যাক্সওয়েল, স্টয়নিস। ৭০ রানের মাথায় ছয়জন ব্যাটার আউট – লজ্জার অপেক্ষায় তখন ক্ষণগণনা শুরু করেছিল ক্যাঙারুরা।
কিন্তু মিচেল স্টার্ককে সঙ্গী করে সেই শঙ্কা দূর করেন লাবুশানে। দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে কিছুটা হলেও সম্মান রক্ষা পায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু সেটা জয়ের জন্য সেটা মোটেই যথেষ্ট ছিল না।
শেষপর্যন্ত সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে থামে দলটির ইনিংস। আর এই পরাজয়ে অজিদের সেমিফাইনালের স্বপ্নে বড় ধাক্কাই লেগেছে।