প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৯ রান, এরপর ইংল্যান্ডের সাথে ১৪ রান এবং সবশেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ০ – না, এগুলো কোন অফ ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানের রান নয়। এগুলো চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির দৈর্ঘ্য। আর এই সংখ্যাগুলো দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়, ইনিংসের শুরু নিয়ে কতটা দুশ্চিন্তায় আছে টাইগাররা।
সেজন্যই বারবার উঠে আসছে তামিম ইকবালের নাম; নানান বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর নিজেকে বিশ্বকাপ দল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তাই তো টপ অর্ডার আরো নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার পিছনে অভিজ্ঞ এই ওপেনারের অনুপস্থিতিকে দায়ী করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
শুধু তাই নয়, একই সুর শোনা গিয়েছে দীনেশ কার্তিকের কণ্ঠেও। তাঁর মতে, তামিমের শূণ্যতা অনুভব করছে টিম টাইগার্স।
এই ভারতীয় বলেন, ‘টপ অর্ডারে বাংলাদেশ অনেককে সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কিছুই কাজে লাগেনি। সাম্প্রতিক সময়ে কেবল শান্ত ও মিরাজ এশিয়া কাপে বড় জুটি করতে পেরেছিল।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘গত কয়েক মাসে দলটির ওপেনিং জুটি গড়ে ১৮ রান করেছে – এমনটা হলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে আপনি কিভাবে জেতার আশা করেন। মুস্তাফিজ, তাসকিন, শরিফুলরা দুর্দান্ত বোলিং করছে, কিন্তু ব্যাটিং তাঁদের পিছিয়ে দিচ্ছে।’
আসলেও তাই, প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হচ্ছে সাকিব আল হাসানের দল। ফলে বোলাররা ডিফেন্ড করার মত যথেষ্ট রান পান না।
কার্তিকের সাথে উপস্থিত জহির খানও একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডারের পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে সাহায্য করছে না। তাঁরা সমস্যায় পড়ছে এটা নিয়ে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে হবে লিটন দাসকে। আবার তাঁকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য এগিয়ে আসতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তকে।’
আলোচনার প্রসঙ্গে তামিম ইকবালের কথাও উঠে আসে। অভিজ্ঞ এই ওপেনার না থাকায় টাইগারদের ব্যাটিং আরো দুর্বল হয়েছে বলে অভিমত দুই ভারতীয় বিশ্লেষক।
তামিম ইকবাল থাকলে যে দল খুব ভাল করতো সেটার নিশ্চয়তা অবশ্য নেই। সাম্প্রতিক সময়ে এই ব্যাটারের ফর্মও খুব একটা স্বস্তিদায়ক ছিল না। তবু তামিম থাকা মানে ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি ভরসা, ওপেনিং নিয়েও তখন ভাবনা কম হত ম্যানেজম্যান্টের।