১৪৯ রানের হার। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এমন ম্যাচ থেকে দলগত প্রাপ্তিটা যে শূন্য, তার জন্য এই বড় ব্যবধানটাই যথেষ্ট। ম্যাচের প্রথম ২৫ ওভারে লড়াই সমানে সমানে এগোলেও ম্যাচের বাকি অংশটুকু বলতে গেলে প্রোটিয়ারাই নিয়ন্ত্রণ করেছে। শত আক্ষেপের মাঝে যা একটু প্রশান্তি জুগিয়েছে, তা রিয়াদের ইনিংস।
তবে রিয়াদের সেঞ্চুরিও বাংলাদেশকে বড় হার থেকে রক্ষা করতে পারেনি। এমন হতাশায় পূর্ণ ম্যাচহারের ব্যাখ্যা টাইগার কাপ্তান সাকিব কীভাবে দিবেন, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেকেরই।
সাকিব সেই ব্যাখ্যা ম্যাচ শেষেই দিয়েছেন। টানা ৪ হারের পর বাংলাদেশের জন্য সেমির রাস্তা বড্ড কঠিন, সেই বাস্তবতাটা মেনেই নিয়েছেন সাকিব। তবে টাইগার অধিনায়ক পয়েন্ট টেবিলের অন্তত ৫/৬ এ থেকে শেষ করতে চান। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেই তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা সেমিতে না খেললেও ৫/৬ এ থাকতে পারলে খুব ভাল হবে।’
বাংলাদেশের এ ম্যাচ হারের পিছনে দায়টা কার? বাজে বোলিং নাকি ব্যাটিং? এ দুইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজে নির্ণয় করতে সমর্থকরা যখন ব্যস্ত তখন সাকিব ব্যখ্যা দিয়েছেন কিছুটা ভিন্ন ভাবে।
ম্যাচটা যে ডি কক আর ক্লাসেনের কাছেই বাংলাদেশ হেরেছে সেটি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম ২৫ ওভারে ভাল বোলিং করেছি। তখন ৫ করে রান রেট ছিল। কিন্তু ডি কক আর ক্লাসেন যেভাবে পরে ব্যাট করেছে, তাতে আমাদেট কিছু করার ছিল না। আর শেষ ১০ ওভারে ওরা যেভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে ওখানেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে।’
সাকিব যে একেবারে বোলারদের দায় দেননি, সেটিও নয়। তিনি বলেন, ‘ এই উইকেটে আসলে তেমন কিছু করার না থাকলেও আমাদের বোলারদের আরো ভাল করা উচিৎ ছিল।’
এরপর টপঅর্ডার ব্যর্থতা নিয়ে সাকিব বলেন,’রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাইদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কথা হচ্ছে৷ কিন্তু তাঁরা ঐ অর্ডারেই ভাল করছে। মূল ফ্যাক্টটা হচ্ছে, টপ অর্ডারদের আরো ভাল করতে হবে। এখনো টুর্নামেন্টে আমাদের ৪ টা ম্যাচ বাকি আছে। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’