টানা তিন ম্যাচ ব্যর্থ ডেভিড ওয়ার্নার; ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও রান পাননি। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগেনি তাঁর, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৪ বলে ১৬৩ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করলেন আরো একটি সেঞ্চুরি।
লোগান ভ্যান বিকের বলে আউট হওয়ার আগে এই বাঁ-হাতির ব্যাট থেকে এসেছে ১০৪ রান। ১১ চার আর তিন ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে ভর করেই ৩৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়তে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া ‘জায়ান্ট কিলার’ তকমা পাওয়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাঁর এমন পারফরম্যান্স প্রয়োজন ছিল অজিদের।
দুই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি, দলও জিতেছে দুই ম্যাচেই; এই ওপেনারের আনন্দ স্বাভাবিকভাবেই আকাশ ছুঁয়েছে। তবে সেটা আরো কয়েক ধাপ বেড়েছে যখন থেকে শচীন টেন্ডুলকারের সাথে একই কাতারে উচ্চারিত হতে শুরু করেছে ‘ডেভিড ওয়ার্নার’ এর নাম।
‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছয়টি শতক হাঁকিয়েছিলেন; আর নেদারল্যান্ডস ম্যাচে সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে ওয়ার্নারও বনে গিয়েছেন বিশ্ব মঞ্চে ছয়টি হান্ড্রেডের মালিক। যদিও এই তালিকায় সবার উপরে আছেন ভারতীয় কাপ্তান রোহিত শর্মা, এই আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু দ্বৈরথ শেষ হয়ে যায়নি; রোহিত বা ওয়ার্নার যে কেউ সর্বোচ্চ শতক হাঁকানোর রেকর্ড নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। টু্র্নামেন্ট শেষে কোন ব্যাটার থাকবেন সবার উপরে সেটা নিয়ে তাই রোমাঞ্চ সৃষ্টি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে।
শুধু এটিই নয়, অজি তারকার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন আরেক মাইলফলক। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোন অস্ট্রেলিয়ান টানা তিনটি সেঞ্চুরি করতে পারেননি। আগামী ২৮ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারলে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ‘হ্যাটট্রিক হান্ড্রেড’ করার কীর্তি অর্জন করবেন ডেভি।