বিতর্ক যেন ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সুপার টুয়েলভ ম্যাচের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে একের পর এক বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছেই নেটিজেনদের মধ্যে।ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাংবাদিক এমনকি বিভিন্ন দেশের সাবেক খেলোয়াড়রা পর্যন্তও দিয়েছেন তাদের নিজস্ব মতামত। এবার এই বিষয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার ও ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া।
তিনি বিরাট কোহলির ফেক ফিল্ডিং ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। নিজের ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘বিরাট কোহলির ওই ফিল্ডিংটা শতভাগ ফেক ফিল্ডিং ছিল, কেননা কোহলি ব্যাটারকে ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ফেক থ্রো করুক আর না করুক, যেহেতু সে ওরকম অঙ্গভঙ্গি করেছে, সেটা ফেক ফিল্ডিং বলেই গণ্য হবে।’
আকাশ চোপড়া ঘটনা আরও বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, ‘যদিও ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটারের রান নেয়াতে কোন সমস্যা হয়নি, তবুও এটা ফেক ফিল্ডিংই ছিল, আমাদের ভাগ্য ভাল যে আম্পায়ার নোটিশ করেনি। নতুবা আমাদের আরও পাঁচ রান পেনাল্টি ও করা হত, সাথে হয়ত আমরা ম্যাচটাও হারতে পারতাম।’
আকাশ চোপড়া ফেক ফিল্ডিং সংক্রান্ত আইন তুলে দিয়ে বলেন, ‘আইসিসির ধারা ৪১.৫ অনুযায়ী, যদি কোন ক্রিকেটার ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কথা, অঙ্গভঙ্গি অথবা কাজের দ্বারা কোন ব্যাটারকে ধোঁকা, বাঁধা কিংবা বিঘ্ন ঘটায় তবে সেটা ফেক ফিল্ডিং হিসেবে বিবেচিত হবে!’
আকাশ চোপড়া এই ধারাকেই ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সেদিন কোহলি ইচ্ছাকৃতভাবে না করুক, তবে সে করেছে। আর সেটাই অপরাধ। যার ফলে পাঁচ রান পেনাল্টি হয়। কিন্তু আইনেও বলা আছে, এই রকম ঘটনা মাঠের আম্পায়াররা যদি খেয়াল করেন অথবা তৃতীয় আম্পায়ারের যদি এখতিয়ার থাকে তবে খোঁজ নিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।’
এরপর আকাশ চোপড়া ম্যাচের ঘটনাতে ফেরত গিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের দাবি সত্য। তবে, ম্যাচ চলাকালীন দুই ফিল্ড আম্পায়ার এর কেউই ঘটনাটা খেয়াল করেননি। ফলে পরবর্তীতেও আর খুব একটা কিছু করার থাকে না আর এই বিষয়ে।’
তবে তিনি টিম ইন্ডিয়াকে পরবর্তীতে আরও সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত, কেননা বড় বড় ম্যাচে এরকম পরিস্থিতি আমাদেরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে পারে!’
বাংলাদেশের ফেক ফিল্ডিং সম্পর্কিত দাবি কতটা যৌক্তিক – পরিশেষে তিনি সেটাই বারবার বলার চেষ্টা করেন! এখন দেখা যাক আকাশ চোপড়ার এই মন্তব্যর পরে, এই বিষয় আরও কতদূর এগোয়।