যখনই সুযোগ পান, তখনই তা কাজে লাগান ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ, ইংল্যান্ডের জয়ে রাখেন বিশেষ ভূমিকা। তবে ইংল্যান্ডের আন্ডাররেটেড খেলোয়াড়ের তকমাটা বোধ হয় তাঁর জন্যই বরাদ্দ। কেননা, তাঁর অবদানের তুলনায় তাঁকে নিয়ে তেমনভাবে মাতামাতি হতে দেখা যায় না ইংলিশ শিবিরে।
ইংল্যান্ড যতবারই তাঁর উপর ভরসা করেছে, আদিল দিয়ে গিয়েছেন সেই ভরসার প্রতিদান। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই বোলার রঙিন পোষাকে ইংল্যান্ডের জন্য অন্যতম ভরসার নাম। আদিল রশিদ ২০০৭ সালে হয়েছিলেন ইয়ং প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার। আবার ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ২০১৯ সালে জেতেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
ওভালে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। সেই ম্যাচেও পাকিস্তানকে কাবু করতে আরেক পাকিস্তানিকেই কাজে লাগায় ইংল্যান্ড। তিনি আদিল রশিদ, পাকিস্তানের বিপক্ষে রেখে গিয়েছেন তাঁর অস্তিত্বের ছাপ।
কাশ্মীর থেকে ইংল্যান্ড গিয়েছিল আদিল রশিদের পরিবার। বাকিটা ইতিহাস। এবার ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৬.৭৫ ইকোনোমিতে খরচ করেন ২৭ রান। আর সেই সাথে তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শাদাব খানের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট। তাছাড়া তালুবন্দি করেন পাকিস্তান দলপতি বাবর আজমের ক্যাচ।
আদিল রশিদের ক্যারিয়ার হতে পারতো আরো উজ্জল। তিনি হতে পারতেন ইংল্যান্ডের নিয়মিতদের একজন। তবে সেই পথের বাঁধা আরেক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার মঈন আলী। তাছাড়া ইংল্যান্ড তাঁদের দলে খুব কমই একাধিক স্পিনার রেখে থাকে। এসব কারণেই তাঁকে নিয়মিত দেখা যায় না ইংল্যান্ডের জার্সিতে।
তবে ইংল্যান্ডের মত কন্ডিশনে খেলেও ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় জ্বল জ্বল করছে আদিল রশিদের নাম। তাইতো আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়ে উঠবেন ইংল্যান্ডের আস্থার প্রতীক।