বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জেরে পাকিস্তানের তিন সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাবর আজম। তাঁর পরিবর্তে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে শান মাসুদকে। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। তবে এই ঘোষণার পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেটে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
চলতি বছরেই শহীদ আফ্রিদির মেয়ে আনশা আফ্রিদির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শাহীন আফ্রিদি। শাহীন আফ্রিদি ও শহীদ আফ্রিদি—পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই আফ্রিদির সম্পর্কটা তাই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জামাই-শ্বশুর। গুঞ্জন আছে, শহীদ আফ্রিদি তাঁর এই জামাইকেই অধিনায়ক করার জন্য উচ্চ পর্যায়ে তদবির করেছিলেন।
যদিও এ গুঞ্জন স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। উল্টো তিনি জানিয়েছেন, শাহীনকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে থাকারই পরামর্শ ছিল তাঁর। এ নিয়ে শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমি সব সময়ই রিজওয়ানের পক্ষে ছিলাম। অধিনায়কত্ব নিয়ে শাহীনের সাথে আমার কখনোই কথা হয়নি। এমনকি তাঁকে অধিনায়ক করার ব্যাপারে আমি কোথাও টুঁ শব্দও করিনি। ক্যারিয়ারে কখনোই এমন তদবির আমি করিনি, করাটা পছন্দও করিনা।’
এরপর শাহীনকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো উচিৎ হবে না। আর শাহীনকে সবসময়ই অধিনায়কত্ব থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে এসেছি। যেহেতু এখন একটা অধ্যায় শেষ হয়েছে, কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতেই হবে।’
এ দিকে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হলেও ওয়ানডেতে অধিনায়ক কে হচ্ছেন—সেটা জানায়নি পিসিবি। মূলত এফটিপি’র সূচি অনুযায়ী আগামী এক বছরে পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না থাকায় এখনই ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে চাচ্ছে পিসিবি। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শাহীনের নেতৃত্ব পর্যবেক্ষণ করেই ওয়ানডে ফরম্যাটেও অধিনায়ক করা হতে পারে তাঁকে।